মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
Logo
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

স্ত্রীকে খুন, দেহ টুকরো করে ছড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা উত্তরপ্রদেশে

স্ত্রীকে খুন।  তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিল অভিযুক্ত। উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সইফুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।

স্ত্রীকে খুন, দেহ টুকরো করে ছড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা উত্তরপ্রদেশে

শ্রাবস্তী: স্ত্রীকে খুন।  তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিল অভিযুক্ত। উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সইফুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। জানা যাচ্ছে, স্ত্রী সাবিনাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে প্রথমে একটি ক্যানালে ভাসিয়ে দেয় অভিযুক্ত। তারপর বাকি কয়েকটি টুকরো শ্রাবস্তী এলাকার অন্তত ১০ কিলোমিটারজুড়ে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন আগে এই ঘটনা ঘটে। পুলিসের নজর এড়াতে স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিল সইফুদ্দিন। কিন্তু সন্দেহ হয় সাবিনার ভাই সালাউদ্দিনের। গত ১৪ মে তিনি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। এরপরই অভিযুক্ত যুবককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে চলতে থাকে তল্লাশিও। প্রথমে সাহাবুদ্দিন পুলিসের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। দু’দিন পর অভিযুক্তের বাড়ির কাছ থেকে সাবিনার পোড়া হাত উদ্ধার করা হয়। তারপর খুনের কথা স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন। 
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঘটনার দিন সাবিনাকে নিয়ে লখনউয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সাহাবুদ্দিন। রাস্তাতেই কোনও নির্জন এলাকায় স্ত্রীকে খুন করে সে। তারপর দেহ টুকরো করে কেটে জ্বালিয়ে দেয়। সেই পোড়া দেহাংশগুলি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে শ্রাবস্তী এলাকার নানা জায়গায় ফেলে আসে সে।  মৃতার ভাই জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই বোনের উপর পণের দাবিতে লাগাতার অত্যাচার চালাত সাহাবুদ্দিনের পরিবার। সেই কারণেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।  ধৃতকে জেলে পাঠানো হয়েছে। দেহের অন্যান্য অংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে এই খুনের পিছনে পণ ছাড়া অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেই ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখছে পুলিস। 
এদিকে, উত্তরপ্রদেশেই  তিন প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীর দেহ ছ’টুকরো করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।  স্বামীর নামে ‘মিসিং’ ডায়রি করেছিলেন স্ত্রী। তদন্তে নেমে হাড়হিম করা ঘটনার কথা জানতে পারল পুলিস। তিন প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীর দেহ ছ’টুকরো করেছিলেন স্ত্রী। দেহ পুঁতে রেখেছিলেন নদী পাড়ের বিভিন্ন অংশে। চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। মায়া নামক ৫৫ বছর বয়সি ওই মহিলা তিনজনের সঙ্গে প্রেম করতেন। প্রত্যেকেই ৩০ বছর বয়সি। স্বামী দেবেন্দ্র রাম ছিলেন প্রেমের পথে একমাত্র বাধা। ৮ মে তিন প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীর দেহ ছ’টুকরো করে পুঁতে দেন মায়া।