মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
Logo
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ভরসা যখন হোমিওপ্যাথি

শরীরের ভিতরে বা বাইরে কোনও তরল বা আধা তরল পদার্থ জমা হয়ে জায়গাটি উঁচু হয়ে ছোট বা বড় ঢিবির আকার নিলে তাকে সিস্ট বলে। শরীরের যে কোনও অংশে সিস্ট হতে পারে। ত্বক, ডিম্বাশয়, খাইরয়েড গ্রন্থি, লিভার, গর্ভাশয় সব জায়গায় সিস্ট হতে পারে। 

ভরসা যখন  হোমিওপ্যাথি

পরামর্শে সল্টলেকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির অধিকর্তা ডাঃ প্রলয় শর্মা।

সিস্ট কী? 
শরীরের ভিতরে বা বাইরে কোনও তরল বা আধা তরল পদার্থ জমা হয়ে জায়গাটি উঁচু হয়ে ছোট বা বড় ঢিবির আকার নিলে তাকে সিস্ট বলে। শরীরের যে কোনও অংশে সিস্ট হতে পারে। ত্বক, ডিম্বাশয়, খাইরয়েড গ্রন্থি, লিভার, গর্ভাশয় সব জায়গায় সিস্ট হতে পারে। 
সিস্টে কেন হোমিওপ্যাথি?
বর্তমান যুগে সিস্ট শুনলেই অনেকে ভাবেন, অপারেশনের প্রয়োজন হবে না তো! তবে সব সিস্টে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে না। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হোমিওপ্যাথি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেসব সিস্ট জন্মগত বা সংখ্যায় অনেক ও হরমোনাল নানা কারণে হয়— যেমন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, সেসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। একাধিক সিস্ট থাকলে বরং অপারেশনের নানা বাধা থাকে। হোমিওপ্যাথি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রেখে অসুখ কমানোর পাশাপাশি পিরিয়ড স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়া ব্রেস্টে সিস্ট হলে তা বেদনাদায়ক হয়। এই অসুখেও হোমিওপ্যাথি করে গেলে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে না। ত্বকের অ্যাকনে থেকে হওয়া সিস্ট বা কোনও ক্রনিক সিস্টে সবসময়ই হোমিওপ্যাথিতে ভরসা রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এই ওষুধে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। হোমিওপ্যাথি আসলে রোগের নয়, রোগীর চিকিৎসা করে। তাই রোগীর দুর্বল শরীর, বয়স বেশি ও কো মর্বিডিটি থাকলে সিস্টের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিই আদর্শ। 
এছাড়া সিবেসিয়ান সিস্ট, গ্যাংলিয়ন সিস্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে সার্জারি করার পরেও ফিরে ফিরে আসতে পারে। সেখানে তার পারিবারিক ইতিহাস, রোগীর ইতিহাস সব জেনে সার্বিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করালে রোগীর সার্জারির প্রয়োজন পড়ে না। সিস্ট বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করলে তা সংখ্যায় বাড়ে না, সিস্ট হওয়ার ক্রনিক প্রবণতাও কমে।
কখন হোমিওপ্যাথি নয়?
• রোগীর যদি এমন কোনও জায়গায় সিস্ট হয়, যা তার কোনও নার্ভের ক্ষতি করছে, কোনও অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গকে চাপ দিচ্ছে নিয়ত, সেসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার চেয়ে চটজলদি সমাধান সার্জারি বেছে নেওয়াই উচিত।
• কোনও প্রদাহজনিত বা সংক্রমণজনিত সিস্ট যা ভবিষ্যতে কঠিন রোগ ডেকে আনতে পারে, এমন সিস্ট হলে তা দ্রুত শরীর থেকে সরিয়ে দেওয়া ভালো। তখন সার্জারি উপায়। 
• কো মর্বিডিটি অনেক বেশি থাকলে, ডায়াবেটিসের রোগীদের আকারে বড় ও বিপজ্জনক সিস্ট হলে তা ফেলে না রেখে সার্জরি করাই ভালো। 
লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়