মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
Logo
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সুযোগ নষ্টের খেসারত দিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম

 দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। বুধবার ইউরোপা লিগ ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল টটেনহ্যাম হটস্পার। ৪২ মিনিটে জাল কাঁপিয়ে জয়ের নায়ক ব্রেনান জনসন।

সুযোগ নষ্টের খেসারত দিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম

টটেনহ্যাম- ১            :              ম্যান ইউ- ০
(ব্রেনান জনসন)

বিলবাও: দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। বুধবার ইউরোপা লিগ ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল টটেনহ্যাম হটস্পার। ৪২ মিনিটে জাল কাঁপিয়ে জয়ের নায়ক ব্রেনান জনসন। একই সঙ্গে প্রশংসা করতে হবে টটেনহ্যাম গোলরক্ষক গুয়েলমো ভিকারিওর। অন্তত তিনবার দলের নিশ্চিত পতন আটকান ইতালিয়ান এই দুর্গপ্রহরী। আর তাতেই ২০০৮ সালে লিগ কাপের পর ফের কোনও সাফল্যের মুখ দেখল স্পার-ব্রিগেড। পক্ষান্তরে, গোটা টুর্নামেন্টে দুরন্ত ফুটবল খেলেও খেতাবি লড়াইয়ে হেরে খালি হাতে ফিরতে হল ম্যান ইউকে।
চলতি মরশুমে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকায় শেষের দিকে রয়েছে ম্যান ইউ ও টটেনহ্যাম। ৩৭ ম্যাচে মাত্র ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে অবস্থান রেড ডেভিলসের। টটেনহ্যামের হাল আরও শোচনীয়। সমসংখ্যক ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে ১৭ নম্বরে রয়েছে অ্যাঞ্জে পোস্টেকোগ্লুর ছেলেরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের ব্যর্থতা ইউরোপা লিগের পারফরম্যান্সে পড়তে দেয়নি দু’দল। ম্যান ইউ তো গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে খেলতে নেমেছিল। তবে খেতাবি লড়াইয়ে শুরু থেকেই দাপট দেখায় টটেনহ্যাম। বেশ কয়েকবার গোল করার অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সোলাঙ্কে-রিচার্লিসনরা। তবে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ তারা। উল্টে ৪২ মিনিটে ব্রেনান জনসনের গোল দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। এক্ষেত্রে অবশ্য দায় এড়াতে পারেন না ম্যান ইউ ডিফেন্ডাররা। লুক শ ও প্যাট্রিক ডরগুর মার্কিংয়ের মধ্যে থেকে গোল করে যান জনসন (১-০)।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে লড়াইয়ে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় ম্যান ইউ। দ্বিতীয়ার্ধে গারনাচো ও জোশুয়া জিরকিকে এনে প্রান্তিক আক্রমণে জোর দেন কোচ আমোরিম। এই পর্বে হয়ল্যান্ডের হেড গোললাইন সেভ করেন ফন ডে ভেন। পাশাপাশি লুক শ ও ব্রুনো ফার্নান্ডেজ সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। দল ভালো ফুটবল খেলা সত্ত্বেও জিততে না পারায় হতাশ ম্যান ইউ কোচ আমোরিম। তাঁর কথায়, ‘এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। ভালো খেলেও সুযোগ নষ্টের খেসারত গুণতে হল।’ টটেনহ্যাম কোচ পোস্টেকোগ্লু গোটা দলকে প্রশংসায় ভরান। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের পর ফের ইউরোপিয়ান সার্কিটে কোনও সাফল্যের মুখ দেখল স্পাররা।