পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আগ্নেয়গিরি
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা তো জানোই যে আগ্নেয়গিরি তিন প্রকারের হয়। ১) জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, ২) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও ৩) মৃত আগ্নেয়গিরি। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালোয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি এটা তোমরা বইতে পড়েছ।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ১৮, ২০২৫
কালীপদ চক্রবর্তী: ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা তো জানোই যে আগ্নেয়গিরি তিন প্রকারের হয়। ১) জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, ২) সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও ৩) মৃত আগ্নেয়গিরি। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালোয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি এটা তোমরা বইতে পড়েছ। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আগ্নেয়গিরির নাম কী? তাহলে কী উত্তর দেবে? ফিলিপিন্সের তাল আগ্নেয়গিরি। ফিলিপিন্সবাসী গর্বিত যে, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আগ্নেয়গিরি তাঁদের দেশে অবস্থিত। এটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। তাই মাঝেমধ্যেই তাল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে লাভা বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, তাল আগ্নেয়গিরি ছোট হলেও বিরামহীনভাবে এটি জ্বলছে। এটি ফিলিপিন্সের তাল হ্রদের মাঝখানে একটি দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। আর সেই কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে তাল আগ্নেয়গিরি। এটি ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর আশপাশে রয়েছে মেঘের মতো পাহাড়। রাতের গভীর অন্ধকারেও বিশাল এলাকা আলোকিত করে থেকে থেকে জ্বলে ওঠে এই আগ্নেয়গিরি। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল এই বিরামহীনভাবে জ্বলার জন্য অমাবস্যার রাতে সেখানে গেলে মনে হয় যেন পূর্ণিমার আলো। এর জ্বালামুখের উচ্চতা বর্তমানে প্রায় ৪০৬ মিটার। জানা যায় অতীতে এই জ্বালামুখের উচ্চতা আরও বেশি ছিল। তখন আরও বেশি আলো ছড়াত এই আগ্নেয়গিরি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি জীবন্ত বলে যেকোনও সময় লাভা উদ্গীরণ করতে পারে। তবে ভবিষ্যতে এর জ্বালামুখের উচ্চতা কমতে থাকবে কি না সে সম্বন্ধে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই আগ্নেয়গিরিটি বহুবার তার সংহার রূপ দেখিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ছ’হাজার মানুষ এই আগ্নেগিরির কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, এই আগ্নেয়গিরিটির চারপাশে যে হ্রদ আছে, সেটি অন্য একটি বড় আগ্নেয়গিরির সুপ্ত জ্বালামুখ ছাড়া কিছু নয়। অর্থাৎ এটি হল একটি বড় আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্য একটি ছোট আগ্নেয়গিরি। ১৭৫৪ সালের ১৫ মে প্রায় রাত ৯টা অথবা ১০টার সময় সবচেয়ে এর প্রলয়ঙ্করী রূপ দেখা যায়। সেদিন অগ্ন্যুৎপাতের গর্জন চারদিক বিদীর্ণ করে তুলেছিল। সারা আকাশ ঢেকে যায় পোড়া ছাইয়ে। এর তাণ্ডব চলেছিল বহুদিন ধরে। ১৫৭২ সাল থেকে ৩৩ বার এটি লাভা উদ্গীরণ করেছে। ১৯১১ সালে এর তাণ্ডবে এক হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আবার কবে এর ভয়াবহতা আশপাশের অঞ্চলকে গ্রাস করবে কেউ জানে না।
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
অমৃত কথা
-
জগৎ
- post_by বর্তমান
- জুন 19, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিন
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
এখনকার দর
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 19, 2025