অহং
গোয়াতে যে এয়ারপোর্টে চট করে অ্যাপ ক্যাব পাওয়া যাবে না, এটা রূপায়ণের ধারণা ছিল না। প্রথম দুটো দিন নর্থ গোয়াতে থাকবে বলে ওরা নেমেছে নতুন তৈরি হওয়া মনোহর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২৫
অংশুমান কর: গোয়াতে যে এয়ারপোর্টে চট করে অ্যাপ ক্যাব পাওয়া যাবে না, এটা রূপায়ণের ধারণা ছিল না। প্রথম দুটো দিন নর্থ গোয়াতে থাকবে বলে ওরা নেমেছে নতুন তৈরি হওয়া মনোহর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। এখন মনে হচ্ছে ডাবলিম এয়ারপোর্টে নামলে হয়তো এই সমস্যা হতো না। সিআইএসএফ জওয়ানদের একজন বলল, অন্য একটা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন স্যার, এক্ষুনি ক্যাব পেয়ে যাবেন। এটাই এখানে বেশি চলে।
তাই করল রূপায়ণ। পেয়েও গেল ক্যাব। ড্রাইভারের নাম জন।
ট্যাক্সিতে উঠে ফেসবুকে একবার ঢুঁ মারল রূপায়ণ। প্রথমেই একটা খবরের লিঙ্ক এল নিউজ ফিডে। বিল গেটস বলেছেন, এআইয়ের জন্য অনেক মানুষের চাকরি চলে গেলেও তিনটি পেশার মানুষদের চাকরি যাবে না। তালিকার এক নম্বরেই আছে কোডারসরা। দু’নম্বরে এনার্জি এক্সপার্টরা। আর তিন নম্বরে বায়োলজিস্টরা।
—একটা নতুন জায়গায় এসে চারপাশটা দেখবে কোথায় তা না, ফোন নিয়ে পড়ে আছ!
যত দিন যাচ্ছে কস্তুরী ক্রমশ দিদিমণি দিদিমণি হয়ে উঠছে।
রূপায়ণ বলল, ‘আরে, একটা দারুণ খবর পড়লাম এক্ষুনি। বিল গেটস বলেছেন এআই বিশ্বজুড়ে দাপালেও আমাদের চাকরি যাবে না।’
একটা বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কোডার রূপায়ণ। ওর ডেজিগনেশন সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ার টু।
কস্তুরী বলল, ‘সবসময় এত নেগেটিভ ভাব কেন? একটা চাকরি গেলে, আরেকটা পাবে।’
আবার দিদিমণির মতো কথা বলতে শুরু করেছে কস্তুরী। অথচ এই ভ্যাকেশনটা প্ল্যান করার সময় রূপায়ণ বারবার করে কস্তুরীকে বলেছিল, এবার কিন্তু একদম দিদিমণিগিরি ফলাবে না।
রূপায়ণ বলল, ‘এক্ষুনি দেখবার তো কিছু নেই চারপাশে। হোটেলে ঢোকার পর থেকে চারদিন ধরে তো শুধু দেখেই যাব। সব তো প্ল্যান করেই এনেছ।’
হোটেলে পৌঁছনোর পর থেকে কী কী করা হবে সমস্ত প্ল্যান করে রেখেছে কস্তুরী। গুগল আর নানা রকমের ট্যুরিজমের সাইট ঘেঁটে ঘেঁটে প্রতিবার বেড়ানোর প্ল্যান কস্তুরীই করে। সেই প্ল্যান এতই নিখুঁত হয় যে, রূপায়ণ এক্ষেত্রে একেবারে অন্ধের মতো নির্ভর করে কস্তুরীর ওপর। আজও যেমন হোটেলে পৌঁছে একটা বিচে যাবে ওরা আর কতগুলো ছোট ছোট চ্যাপেল দেখবে। চার্চ আর চ্যাপেল এর মধ্যে তফাৎ কী সেটাও কস্তুরীই রূপায়ণকে বুঝিয়েছে। চার্চ প্রভাবে ও আকারে অনেক বড়। চ্যাপেল ছোট্ট। মূলত গ্রামের মানুষদের প্রার্থনার জন্য বানানো। অনেকটা ওদের গ্রামের বাড়ির পাড়ার ছোট্ট কালীমন্দিরটার মতো।
ওরা চুপ করে আছে দেখে জন মুখ খুলল। চোস্ত ইংরেজিতে বলল, ‘আই হ্যাভ এ প্রপোজাল ফর ইউ।’
জনের প্রস্তাবটা মন্দ নয়। ও বলছে যে, নর্থ গোয়াতে ওরা থাকবে যে দু’দিন সেই দু’দিন ও-ই ওদের সাইট সিয়িং করাবে। ঘণ্টা ধরে গোয়া মাইলসে যে ভাড়া দেখাবে, ওকে তার চেয়ে দুশো টাকা কম ভাড়া দিলেই হবে। কিছুটা গাইডের কাজও ও করে দিতে পারবে। বলল যে, গোয়ার ইতিহাস ও ভূগোল ও বেশ ভালোই জানে। কস্তুরী ওকে বলল, ‘গিভ আস সাম টাইম। উই’ল লেট ইউ নো।’
এবার কস্তুরী নিজেই ঘাঁটতে শুরু করল ফোন। রূপায়ণ জানে ট্যুরিজমের নানা সাইট খুঁজে ও এখন বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে যে, জনের প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত হবে কি না। একটু পরেই কস্তুরী রূপায়ণকে বলল, শোনো, রাজি হয়ে যাও। যা বুঝলাম রোজ অন্তত পাঁচশো টাকা করে বাঁচবে।
গোয়া এমনিতেই বেশ এক্সপেন্সিভ। সবাই রূপায়ণকে বলেছে। তাই জনের প্রস্তাবে রাজিই হয়ে গেল তারা। কোম্পানিকে দেওয়া কমিশন বাঁচাতে ক্যাব ড্রাইভাররা হামেশাই এমনটা করে থাকে। রূপায়ণ আগেও দেখেছে।
জন ওদের রিসর্টে নামিয়ে দিল। জানাল, ঠিক দুটোর সময় ও আবার হাজির হয়ে যাবে।
নর্থ গোয়াতে যে-রিসর্টটায় রূপায়ণরা থাকবে সেখানে যে এত বাঙালি কর্মচারী থাকবে, তা ওরা ভাবতেও পারেনি। অবশ্য ভাবা উচিত ছিল। কাজের সন্ধানে আজ বাঙালিরা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। রূপায়ণই তো আজ চার বছর গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা। বিয়ের পর কস্তুরীও গুরগাঁওতেই চলে এসেছে। কলকাতায় একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়াত ও। দিল্লিতেও তাইই করে। তবে যাতায়াতে এখানে ওর অনেকটা সময় যায়। কেন না গুরগাঁও তো আর দিল্লি নয়।
দুই
জন বেশ গল্পবাজ মানুষ। গাড়ি চালাতে চালাতে কথা বলতেই থাকে। ও একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। এই এক বছর গাড়ি চালিয়ে সামনের বছর অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে এমনটাই ওর প্ল্যান। ওর আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছে। জন এমএ পাশ। কিন্তু চাকরি পায়নি বলে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। এক বছর ট্যাক্সি চালিয়ে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে।
রূপায়ণ ওকে কথায় কথায় জিজ্ঞেস করেছিল, এমএ পাশ করার পরেও ট্যাক্সি চালাতে ওর খারাপ লাগে না?
এক মুহূর্তও সময় না নিয়ে জন বলেছিল, ‘আই ডোন্ট হ্যাভ এনি ইগো। ইফ ইউ ওয়ান্ট টু সারভাইভ, ইউ নিড টু শেড অফ ইওর ইগো।’
রাতের অঞ্জুনা বিচে একটা রেস্তরাঁয় বসে জনের কথাই ভাবছিল রূপায়ণ। ক’দিন আগেই একটা কাজ সময়ের একটু পরে শেষ করেছিল বলে টিম ম্যানেজার দিব্যদা বিশ্রীভাবে কথা শুনিয়েছিল ওকে। বলেছিল, ‘এআই যেভাবে পেনিট্রেট করছে, তাতে এই যদি তোমার পারফরম্যান্স হয়, চাকরি থাকবে না।’
চুপ করে অপমানটা হজম করেছিল রূপায়ণ। দু’বছরের মধ্যেই প্রোমোশন পেয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওয়ান থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার টু হয়েছে রূপায়ণ। আরও একটা ধাপ পেরলে তবে হতে পারবে ম্যানেজার। এত সহজে অবশ্য এই প্রোমোশনগুলো পাওয়া যাবে না। কাজেই মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। দিব্যদা যে ওকে মেজাজ দেখিয়েছিল তারও কারণ আছে। ও জানে মারাত্মক চাপে থাকে দিব্যদাও। কর্পোরেট পৃথিবীতে সবাই চাপে থাকে। সুযোগ পেলেই সবাই সবাইকে দু-চার কথা শুনিয়ে দেয়। ইউ কান্ট অ্যাফোর্ড টু হ্যাভ ইগো টু সারভাইভ ইন দিস ওয়ার্ল্ড। জন ঠিকই বলেছে।
মকটেলে সিপ দিতে দিতে এসবই ভাবছিল রূপায়ণ আর চারপাশটা দেখছিল। কস্তুরী বলল, ‘পুরীর সি বিচের চেয়ে গোয়ার সি বিচ কত আলাদা, তাই না?’
রূপায়ণ বলল, ‘একদম। কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট।’
সত্যিই তাই। তার সি বিচ জুড়ে বড় ছোট রেস্তরাঁর সারি। ঝকঝকে আলোয় সাজানো চারপাশ। কোনও কোনও রেস্তরাঁয় লাইভ পারফরম্যান্স হচ্ছে গানের। পানীয় আর সঙ্গীতে ডুবে লোকজন। এক ঝলক দেখলে মনে হবে, পৃথিবীতে বুঝি কোথাও কোনও দুঃখ নেই। ফুর্তিই পৃথিবীর শেষ সত্য। অথচ তা তো নয়। রূপায়ণের মতো কত মানুষই তো কত ধরনের টেনশন চেপে এখানে বসে আছে। টেবিলে টেবিলে খাবার দিচ্ছে যারা, কিংবা ছোট্ট দোকান থেকে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী বিক্রি করছে যারা, তাদেরও না জানি কতজন জনের মতো পরিকল্পনা করে টাকা জমাচ্ছে সামনের বছর দেশ ছেড়ে চলে যাবে বলে। ফুর্তি এক প্রতারক। রূপায়ণকে দেখেও অনেকে নিশ্চয়ই ভাবছে ও একজন সুখী মানুষ। বুঝতেই পারছে না, কতখানি অপমান সহ্য করতে হয় ওকে রোজ। ভেতরে ভেতরে ও কত বিষণ্ণ থাকে।
তিন
—সমঝ লিজিয়ে কি আপ হামকো হেল্প কর রহে হ্যায়।
যে লোকটা কথাগুলো বলল তার নাম সন্তোষ ডি’সুজা। পেশায় ফোটোগ্রাফার। ওরা দাঁড়িয়ে আছে কোলভা বিচে। সমুদ্রের নীল জলে পা ডুবিয়ে। সন্তোষ ডি’সুজা ওদের ছবি তুলতে চাইছে। এক-একটা ছবির জন্য চাইছে একশো টাকা। কিন্তু প্রিন্ট দেবে না। ছবি পাঠিয়ে দেবে হোয়াটসঅ্যাপে।
এটাও একটা নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে সমুদ্র বলতে রূপায়ণ গিয়েছে পুরী আর ভাইজ্যাগ। তাও সে বেশ অনেক বছর আগেই। তারপর ঘুরে বেড়িয়েছে মূলত পাহাড়ে পাহাড়ে। পুরী আর ভাইজ্যাগ দু’জায়গাতেই মা-বাবার সঙ্গে ফোটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলিয়েছিল রূপায়ণ। কিন্তু, দু’জায়গাতেই ফোটোগ্রাফাররা হোটেলে পৌঁছে দিয়েছিল প্রিন্ট করা ছবি। এখানে ব্যবস্থা একেবারেই আলাদা। সন্তোষ ডি’সুজা বলছে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেবে ছবি। প্রিন্ট দেবে না।
সন্তোষ ডি’সুজাকে দিয়ে ছবি তোলাতে রূপায়ণের খুব একটা ইচ্ছে করছে না। গত তিন দিনে প্রচুর ছবি রূপায়ণ তুলেছে মোবাইলে। বেড়াতে গিয়ে কেউ এখন আর ক্যামেরা সঙ্গে নেয় না, যদি না কারওর ফোটোগ্রাফির শখ থাকে। ক্যামেরা নেইও রূপায়ণের। ওর ফোনের ক্যামেরাই ডিএসএলআরের মতো ছবি তুলে দেয়। তাই সন্তোষ ডি’সুজাকে দিয়ে ছবি তোলাতে একেবারেই ইচ্ছে করছে না রূপায়ণের। কিন্তু লোকটা খানিকটা লোভ দেখাতে পেরেছে কস্তুরীকে। সন্তোষ ডি’সুজা ওর সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে প্রিন্ট করা কিছু ছবি। প্রায় সবই মহিলার। নানা ধরনের পোজে তোলা সেই সমস্ত মহিলাদেরই দেখতে লাগছে সিনেমার নায়িকাদের মতো।
কস্তুরী ছবি তুলতে চাইছে কিন্তু রূপায়ণ ঠিক রাজি হচ্ছে না বুঝতে পেরেই সন্তোষ ডি’সুজা ওই কথাটা বলেছে।
আগোডা ফোর্ট, চাপোড়া ফোর্ট, বাটারফ্লাই বিচ, ব্যাসিলিকা অব বোম জেসাস— সব জায়গাতেই অসংখ্য ছবি তুলেছে রূপায়ণ আর কস্তুরী। কিন্তু ওদের দু’জনের একসঙ্গে তেমন ভালো ছবি তোলা হয়নি। দু’জনের কেউই ভালো সেলফি তুলতে পারে না। যাদের বলেছিল ছবি তুলে দিতে, তারা ছবি তুলে দিয়েছে ঠিক, কিন্তু কোনওটাই মনের মতো হয়নি। সন্তোষ ডি’সুজার দেখানো ছবিগুলো দেখে তাই কস্তুরী ছবি তুলতে চাইছে। রূপায়ণ দোনামোনা করছে দেখে সন্তোষ ডি’সুজা আবার বলল, ‘মোবাইল আনে কে বাদ বাজার বহুত খারাব হো গয়া হ্যায়। চাহে তো এক হি কাপল কি ফোটো লে লিজিয়ে।’
এটা তো রূপায়ণ আগে সত্যিই ভেবে দেখেনি। এআই ওদের চাকরির দুনিয়ায় কত মানুষের চাকরি খাবে ভেবে আজ ওরা চিন্তা করছে, অথচ কত আগেই মোবাইল ফোন সন্তোষ ডি’সুজাদের মতো ফোটোগ্রাফারদের রুটিরুজির ওপর বড় থাবা বসিয়েছে! ওর এবার একটু মায়াই হল লোকটার ওপর।
লোকটা আবার বলল, ‘ফোটোগ্রাফি এক আর্ট হ্যায়। এক সময় হামনে ম্যাগাজিন কে কাভার ফোটো ভি খিঁচি হ্যায়। মুঝপর থোড়া সা ভরসা তো কিজিয়ে, ভাইসাব।’
রাজিই হয়ে গেল রূপায়ণ। সন্তোষ ডি’সুজাকে বলল পাঁচটা ছবি তুলে দিতে। দুটো ওদের দু’জনের একসঙ্গে। আর তিনটে কস্তুরীর সোলো। পাঁচটা ছবি তোলার জন্য ওদের অন্তত পঁচিশ রকমের পোজে দাঁড় করাল লোকটা। তুলল অন্তত পঞ্চাশটা ছবি। তারপর রূপায়ণের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর নিল। বলল, এখন তিনশো টাকা দিতে হবে। সন্ধের মধ্যে সেরা পাঁচটা ছবি এডিট করে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেবে সে। তখন ওর নাম্বারে ওকে দুশো টাকা গুগল পে করে দিলেই হবে।
ওরা ডিনার করতে বের হতে যাবে ঠিক তার আগে ছবিগুলো ঢুকল। একটা ছবিও মনের মতো ওঠেনি। না রূপায়ণের পছন্দ হল, না কস্তুরীর।
কস্তুরী বলল, ‘ম্যাগাজিনের কভার ফোটো তুলত বলল লোকটা, এই ফোটোগ্রাফির ছিরি! কিন্তু, হাতে যে ছবিগুলো নিয়ে ঘুরছিল সেগুলো কী সুন্দর ছিল!’
রূপায়ণ বলল, ‘ওগুলো তো প্রিন্ট ছবি ছিল। হতেই পারে অন্য কারওর তোলা।’
হঠাৎ সন্তোষ ডি’সুজার ওপর ভীষণ রাগ হল রূপায়ণের। মনে হল নিজের দারিদ্র্যের কথা বলে ওদের ঠকিয়ে নিল লোকটা। ও সন্তোষ ডি’সুজাকে হোয়াটসঅ্যাপ করল, ‘আপনে ইয়ে ক্যায়সা ফোটো খিঁচি?’
কিছুক্ষণ পরেই উত্তর এল, ‘আচ্ছা নেহি হুয়া?’
রূপায়ণ লিখল, ‘বহোত খারাব।’
ওপাশ থেকে কোনও সাড়া এল না। লোকটার ওপর প্রচণ্ড বিরক্ত হলেও রূপায়ণ ভাবল, গরিব মানুষ, বাকি দুশো টাকা ওকে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।
ও গুগল পে-তে ঢুকতে যাবে তখনই টুং করে মেসেজ এল। তিনশো টাকা ওকে ফেরত পাঠিয়েছে সন্তোষ ডি’সুজা। মাথা গরম হয়ে গেল রূপায়ণের। এত বড় স্পর্ধা!
হোয়াটসঅ্যাপে সন্তোষ ডি’সুজাকে কিছু একটা লিখতে যাবে ভাবছিল রূপায়ণ, তখনই ওর মেসেজ ঢুকল। লিখেছে, ‘বুরা মত সমজিয়ে। কাম আচ্ছা নেহি হোনে পর হাম পয়সা নেহি লেতা।’
চমকে উঠল রূপায়ণ। এই কথাগুলোর মধ্যে স্পর্ধা নেই তো। অহং রয়েছে। যেটুকু অহং ওর মতো, জনের মতো মানুষেরা বেঁচে থাকার জন্য ঝেড়ে ফেলে। কিন্তু, সন্তোষ ডি’সুজার মতো শিল্পীরা ঝেড়ে ফেলতে পারে না। যেটুকু অহং না থাকলে শিল্পীকে আর শিল্পীই মনে হয় না!
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
আজকের রাশিফল (১৭/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 17, 2025
এখনকার দর
-
নিফটি ব্যাঙ্ক (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
নিফটি ৫০ (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
ইউরো (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
পাউন্ড (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
ডলার (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
রূপোর দাম (১৭/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 17, 2025
-
সোনার দাম (১৭/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 17, 2025
-
সোনার দাম (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
রুপোর দাম (১৬/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 16, 2025
-
ডলার (১৭/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 17, 2025
-
পাউন্ড (১৭/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 17, 2025
-
ইউরো (১৭/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 17, 2025