সোমবার, 28 এপ্রিল 2025
Logo
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আরও লগ্নি টানতে নয়া শিল্পনীতি আনছে রাজ্য

 নতুন শিল্পনীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্পের জন্য আলাদা নীতি থাকলেও বড় শিল্পের জন্য কোনও নীতি নেই, যার মাধ্যমে আর্থিক সুরাহা পেতে পারে শিল্প সংস্থা।

আরও লগ্নি টানতে নয়া শিল্পনীতি আনছে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন শিল্পনীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্পের জন্য আলাদা নীতি থাকলেও বড় শিল্পের জন্য কোনও নীতি নেই, যার মাধ্যমে আর্থিক সুরাহা পেতে পারে শিল্প সংস্থা। সেই নীতি প্রণয়নের জন্য শিল্প মহলের বক্তব্য শুনবে রাজ্য। তাদের পরামর্শ মেনেই তৈরি হবে নতুন নীতি, এমনটাই জানা গিয়েছে। 
বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু আলাদা করে আর্থিক সুরাহা বা ইনসেন্টিভ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নিমরাজি ছিল শিল্পদপ্তর। উদ্যোগপতিদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বারবার বলে এসেছেন, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে ব্যবসা করবেন। কিন্তু ব্যবসার সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ শিল্পে কোনও সমস্যা হলে সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বা শিল্পের জন্য প্রশাসনিক স্তরে সুবিধা তৈরি করে দিতে পারে মাত্র। এর বাইরে আলাদা করে কোনও সুবিধা করে দেবে না রাজ্য। মোট কথা, শিল্প গড়ার নামে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা নিয়ে বাস্তবে কিছু না-করার যে রীতি শিল্প মহলের একাংশে চালু আছে, তা আর বাড়তে দেবে না রাজ্য। এই নীতিতেই গত বিধানসভা অধিবেশনে আলাদা করে বিল আনে রাজ্য। তারা জানায়, বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এতদিন যে ইনসেন্টিভ দিত, ‘দ্য রিভোকেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনসেনটিভ স্কিম অ্যান্ড অবলিগেশন ইন দ্য নেচার অব গ্রান্টস অ্যান্ড ইনসেনটিভ বিল–২০২৫’ আনার মাধ্যমে তা আর দেওয়া হবে না।
এই পদক্ষেপের পর ১৭ এপ্রিল রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমে বিভিন্ন বণিকসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে রাজ্য সরকার। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে আরও বিনিয়োগ আনা যায়, সেই লক্ষ্যেই আনা হবে নীতি। মূল ধারার শিল্পের পাশাপাশি ডাকা হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ন্যাসকমকেও। নতুন পলিসি বা শিল্পনীতিতে আর্থিক সহায়তা বা ইনসেন্টিভের বিষয়ে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে, এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছেন শিল্পকর্তারা।