আসল রহস্যটা অজানাই
১১ বছর আগে ২৩৯ জনকে নিয়ে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। ২০১৪ সালে ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ১৫, ২০২৫
১১ বছর আগে ২৩৯ জনকে নিয়ে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। ২০১৪ সালে ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আকাশে ওড়ার প্রায় ৩৮ মিনিট পর সেটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। সেই সময় দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে উড়ছিল বিমানটি। এর কয়েক সেকেন্ড পর সেটির সঙ্গে এটিসি-র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর যদিও মালয়েশিয়া সেনার রেডারে ধরা পড়েছিল বিমানটি। তবে সেই সময় সেটি নির্দিষ্ট রুটে এগচ্ছিল না। বরং পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে মালয় উপদ্বীপ এবং আন্দামান সাগর অতিক্রম করছিল। সেনার রেডার থেকে সরে যাওয়ার পর চিরতরে গায়েব হয়ে যায় ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। বিমানে তখন ২২৭ জন যাত্রী এবং পাইলট সহ ১২ জন কর্মী। যাত্রী তালিকায় পাঁচ ভারতীয়ও ছিলেন। বিমানটির খোঁজে দক্ষিণ চিন সাগর এবং আন্দামান সাগরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে মালয়েশিয়া সরকার। ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০-এর কিছু অংশ পাওয়া গেলেও ধ্বংসাবশেষের বেশির ভাগ মেলেনি। অসামরিক বিমান পরিবহণের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই অভিযানকে কার্যত ব্যর্থই বলা চলে।
ঘটনার আট বছর পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দাবি করে, বোয়িং ৭৭৭ বিমানটিকে ধ্বংসের জন্য দায়ী পাইলটরাই। ধ্বংসাবশেষ থেকে যে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, তা পরীক্ষার পর তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড গডফ্রে, এমএইচ ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ সন্ধানী আমেরিকার ব্লেইন গিবসনের দাবি, বিমানটিকে স্বেচ্ছায় ধ্বংস করেছিলেন এর চালকরাই। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ জানিয়েছিল, ২০১৭ সালে মাদাগাস্কারের উপকূলে ওই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরটি দেখতে পান টাটালি নামে এক মৎস্যজীবী। ‘ফার্নান্দো’ নামে উপকূলীয় ঝড়ে মাদাগাস্কারের সমুদ্র উপকূলে ভেসে এসেছিল সেটি। তা যে মালয়েশীয় বিমানের অংশ, সেব্যাপারে কোনও ধারণাই ছিল না টাটালির। বছর পাঁচেক ধরে সেটিকে জামাকাপড় পরিষ্কার করার বোর্ড হিসাবে ব্যবহার করছিলেন মৎস্যজীবীর স্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে গডফ্রে বলেছেন, ‘ওই ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরটির চারপাশে ফাটল এবং তা যে মাত্রায় ক্ষতি হয়েছে, তা দেখে বোঝা যায় বিমানটিতে আর যা-ই হোক, সেটি ধীরে ধীরে সাগরে ডুবে যায়নি। বরং অত্যন্ত উচ্চগতিতে জলে গোঁত্তা খেয়েছিল। এবং সেটি এমন ভাবে করা হয়েছিল, যাতে বিমানটি যতটা সম্ভব টুকরো টুকরো হয়ে যায়।’ কিন্তু সত্যিই কি তাই? আসল রহস্য অজানাই থেকে গিয়েছে!
অমৃত কথা
-
বেদ
- post_by বর্তমান
- জুলাই 8, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 8, 2025