রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

রথের ছুটি: বকখালিতে হোটেল বুকিংয়ের ঝোঁক, দীঘায় একলাফে বেড়েছে ঘরভাড়া

দীঘা এখন পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন। জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি হওয়ার পর, রমরমিয়ে বেড়েছে হোটেল ব্যবসা। সামনে রথযাত্রা, এই সুযোগে হোটেল মালিকরা ঘরের ভাড়া একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন। 

রথের ছুটি: বকখালিতে হোটেল বুকিংয়ের ঝোঁক, দীঘায় একলাফে বেড়েছে ঘরভাড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দীঘা এখন পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন। জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি হওয়ার পর, রমরমিয়ে বেড়েছে হোটেল ব্যবসা। সামনে রথযাত্রা, এই সুযোগে হোটেল মালিকরা ঘরের ভাড়া একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের একাংশের। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে অনেকেই বকখালিতে হোটেলের খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। রথের আগে বকখালির হোটেলগুলিতে বুকিংয়ের হার অনেকটাই বেড়েছে। যা এক মাস আগেও ছিল তলানিতে। 
রথযাত্রার সময় দীঘায় ভ্রমণপিপাসুদের ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা হবে। এই সুযোগে হোটেল মালিকদের বড় অংশই অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছে। ফলে যাঁরা অত টাকা দিয়ে হোটেলে থাকতে নারাজ, তাঁরা ঝুঁকছেন বকখালির দিকে। বকখালির হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, দীঘায় বাজেটের মধ্যে ঘর না পাওয়ায় এখানে রুম বুকিংয়ের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই ফোন করে ঘর আছে কি না, জানতে চাইছেন।
বর্ষার সময় সাধারণত খুব বেশি বুকিং হয় না বকখালিতে। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই তথ্যই দিয়েছেন হোটেল মালিকরা। তাঁদের কথায়, এ মাসে রথের সপ্তাহে টানা তিনদিন ছুটি মেলায় এখনই অন্তত ৫০ শতাংশ ঘর বুক হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, বাকি ঘরগুলিও বুকিং হয়ে যাবে। প্রচুর ‘এনকোয়ারি’ আসছে।
পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লেও হোটেল মালিক থেকে শুরু করে দোকানিদের আক্ষেপ যেন কিছুতেই দূর হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, দীঘাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে যেভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার এক ভাগও এই সমুদ্র সৈকতের কপালে জোটেনি। এক প্রকার অবহেলাতেই পড়ে রয়েছে এটি। এই পর্যটন কেন্দ্রকেও যাতে আগামী দিনে সাজিয়ে তোলা যায়, সরকারের কাছে সেই আবেদনই করছেন তাঁরা।

রাশিফল