লক্ষ্যপূরণ না হলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নয়, ট্রাম্পকে সাফ জানালেন পুতিন
ইউক্রেনের যুদ্ধ তিনি বন্ধ করবেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি টেলিফোনেই একথা জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুলাই ৫, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ইউক্রেনের যুদ্ধ তিনি বন্ধ করবেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি টেলিফোনেই একথা জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয়। যে ফোনালাপে প্রধানত উঠে এসেছে ইউক্রেন, ইরান, প্যালেস্তাইন, ইজরায়েল এবং আমদানি শুল্ক। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশ্নে ট্রাম্প পুতিনকে বলেছেন, যত শীঘ্রই সম্ভব একটি সমাধানের রাস্তা খুঁজুন। এবার যুদ্ধ বন্ধের সময় এসেছে। কিন্তু পুতিন ট্রাম্পকে জানান, মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধানের পথে অগ্রসর হতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। এরকম প্রস্তাব আগেও এসেছে। তিনিও রাজি হয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রধাণ যে কারণ, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ তিনি থামাতে রাজি নয়। মূল কারণটি ঠিক কি, তা অবশ্য পুতিন জানাননি। তবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের অভিমত হল, ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদানের প্রস্তুতিই রাশিয়ার ক্রোধের কারণ। ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই বিষেয় আলোচনা শুরু হয়। আর সেই উদ্যোগই ছিল রাশিয়াকে উত্তেজিত করার প্রধান কারণ। ইউক্রেন যদি ন্যাটোয় যোগ দেয়, তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে আরও চাপে পড়বে রাশিয়া। কারণ রাশিয়ার নাকের ডগায় ন্যাটোর সামরিক বাহিনী থাকবে। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তি বহুগুণ বাড়বে। প্রধানত সেই উদ্যোগকে বানচাল করতেই ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। টেলিফোন বার্তা ছিল যথেষ্ট দীর্ঘ। আমরা ইরান নিয়ে কথা বলেছি। ইউক্রেন নিয়েও আলোচনা করেছি। ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আমি যে মোটেই খুশি নয়, সেটা বারংবার বলেছি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো সম্পর্কে যে কথা হল, সেটা তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নয়। বস্তুত কোনও লাভ হয়নি। এর বেশি কিছু ট্রাম্প না বললেও, ক্রেমলিন সূত্রে পরে জানানো হয় যে, প্রেসিডেন্ট পুতিন সাফ জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাবেন না। রাশিয়া এই যুদ্ধে জড়িয়েছে বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য নিয়ে। সেই লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। তবে যদি আলোচনা ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে সেই লক্ষ্যপূরণ হয়, তাহলে আর যুদ্ধের প্রয়োজন নেই।
ট্রাম্প কয়েকদিন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যারা বাণিজ্য করবে এবং রাশিয়ার পণ্য ক্রয় করবে, তাদের উপর ৫০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপানো হবে। পুতিন ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই তিনি যুদ্ধ বন্ধ করছেন না। আমদানি শুল্ক নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু আগামী দিনে রাশিয়ার তেল কেনার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হলে কী হবে? বৃহস্পতিবার থেকেই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে ভারত সরকারের অন্দরে।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 19, 2025
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025