প্রত্যেক ডিভিশনে ‘তদন্ত সহায়ক দল’ গঠনের নির্দেশ দিলেন কলকাতার সিপি, বড় অপরাধের তদন্তে থেকে যাচ্ছে পদ্ধতিগত ত্রুটি
কলকাতা পুলিসের প্রত্যেক ডিভিশনে সর্বক্ষণের জন্য একটি করে ‘ইনভেস্টিগেশন সাপোর্ট ইউনিট’ বা তদন্ত সহায়ক দল গঠনের নির্দেশ দিলেন পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ১০, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা পুলিসের প্রত্যেক ডিভিশনে সর্বক্ষণের জন্য একটি করে ‘ইনভেস্টিগেশন সাপোর্ট ইউনিট’ বা তদন্ত সহায়ক দল গঠনের নির্দেশ দিলেন পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন কলকাতার সিপি। এখন থেকে কলকাতা শহরে অগ্নিকাণ্ড, ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার মতো বিপর্যয়, আর জি করের ঘটনার মতো অপরাধ, বড় কোনও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যায় এই ইউনিট স্থানীয় থানাকে সাহায্য করবে। লালবাজারের এক বিশেষ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিসের ১০টি ডিভিশনে ডিসির অধীনে এই ‘ইনভেস্টিগেশন সাপোর্ট ইউনিট’ ২৪ ঘণ্টাই সতর্ক থাকবে। একজন ইনসপেক্টরের নেতৃত্বে দু’জন এসআই বা সার্জেন্ট, ২জন কনস্টেবল, অর্থাৎ মোট পাঁচ জনের টিম গঠন করা হচ্ছে। শহরে কোনও বড় ঘটনা ঘটলে এই ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। মূলত, এফআইআর দায়ের, তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ, ভিডিওগ্রাফি, স্থানীয় থানার সঙ্গে সমন্বয়, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার বিধিনিষেধ কার্যকর, মোবাইল ফরেন্সিক ইউনিটের সঙ্গে সমম্বয় সাধনের কাজ করবে এই ইউনিট।
কেন এমন ইউনিট গড়তে হল পুলিসকে? কোনও ভনিতা ছাড়াই পুলিস কমিশনার নির্দেশিকার শুরুতে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি শহরে বেশ কিছু জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে প্রাথমিকভবে পদক্ষেপ থেকে শুরু করে এফআইআর দায়ের, তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ, ভিডিওগ্রাফি, স্থানীয় থানার সঙ্গে সমন্বয়, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার বিধিনিষেধ কার্যকর করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি থেকে যাচ্ছে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার প্রক্রিয়ায়।’ তাই এই ইউনিট গড়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সিপি।
এই সিদ্ধান্তে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পুলিসের অন্দরে। লালবাজারের অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্তাদের একাংশের মতে, সিপির এই সিদ্ধান্তের জেরে ১৫০ বছরের প্রচীন গোয়েন্দা বিভাগের গুরুত্ব ও ক্ষমতা হ্রাস পাবে। অতীতে বউবাজারে রশিদ খানের ডেরায় বিস্ফোরণ, আমেরিকান সেন্টারে জঙ্গি হামলার মতো বড় অপরাধের ঘটনায় এসিডিডি(আই), এসি (এআরএস), ওসি হোমিসাইডের মতো গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষস্থানীয় অফিসারদের নেতৃত্বে বাছাই করা অফিসার এবং স্থানীয় থানার টিম কাজ করেছে। এটাই কলকাতা পুলিসের রীতি। এফআইআর দায়ের, তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশালাইজড অফিসারদের বদলে অনভিজ্ঞ অফিসারদের কাঁধে চাপালে উল্টে মুখ পুড়তে পারে কলকাতা পুলিসের।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
অমৃত কথা
-
জগৎ
- post_by বর্তমান
- জুন 19, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিন
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
এখনকার দর
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 19, 2025