শুক্রবার, 20 জুন 2025
Logo
  • শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

সমাজকল্যাণমূলক কাজে নজর কাড়ছে খড়্গপুরের বলরামপুর কল্যাণ সঙ্ঘ

সাধারণ মানুষের জন্য সমাজকল্যাণমূলক কাজ করাই প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে নজর কাড়ছে খড়্গপুর-২ ব্লকের বলরামপুর কল্যাণ সঙ্ঘ। 

সমাজকল্যাণমূলক কাজে নজর কাড়ছে খড়্গপুরের বলরামপুর কল্যাণ সঙ্ঘ

রাজদীপ গোস্বামী, খড়্গপুর: সাধারণ মানুষের জন্য সমাজকল্যাণমূলক কাজ করাই প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে নজর কাড়ছে খড়্গপুর-২ ব্লকের বলরামপুর কল্যাণ সঙ্ঘ। বর্তমানে এই ক্লাবের উদ্যোগেই হচ্ছে রক্তদান শিবির, দুঃস্থ মানুষদের জন্য বস্ত্রদান শিবির সহ নানা কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিগুলিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও থাকছে চোখে পড়ার মতো। ক্লাবের সদস্যদের কথায়, সারা বছর ধরেই নানা সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়। সদস্যদের তরফে নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বলরামপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সমাজকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে বলরামপুর কল্যাণ সঙ্ঘ। সবসময় মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্লাবের সদস্যরা। 
স্থানীয় বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, এই ক্লাব সর্বদা মানুষের পাশে থাকে। মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি পালন করে। ক্লাবের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচিতেও উপস্থিত থেকেছি। ক্লাবের সদস্যদের পাশে সর্বদা থাকব। এদিন ক্লাবের সম্পাদক সৈকত ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের ক্লাবের মূলমন্ত্র একতা। সকলের সহযোগিতা ছাড়া নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হতো না। তবে আমাদের ক্লাব সমস্ত ধরনের সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত। এর ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের তরফে যদি এই সমস্যার সমাধান করা হয়, তবে সকলেই কৃতজ্ঞ থাকব। প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে বলরামপুর কল্যাণ সঙ্ঘের পথচলা শুরু হয়। এলাকার যুবকরা মূলত সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্যই এই ক্লাবটি তৈরি করেন। প্রথমদিকে তাঁদের কোনও ক্লাবঘর ছিল না। এলাকাতেই ক্লাবের সদস্যরা আড্ডার আসর বসাতেন। আর আড্ডার বিষয় থাকত সমাজের নানা দিক। এক সদস্য বলেন, শুরুর দিকে ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। বর্তমানে সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে। কিছুদিন আগেই তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবির ও বস্ত্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়। অন্যদিকে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজনও করা হয়েছিল। বিভিন্ন সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতি বছর এই ক্লাবের সদস্যরা সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন। পুজোয় প্রচুর মানুষ উপস্থিত থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির সময়েও ক্লাবের সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের উদ্যোগে প্রায় একমাস ব্যাপী কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এলাকার মানুষের জন্য মাস্ক ও ওষুধ তুলে দেন ক্লাবের সদস্যরা। এছাড়া, ক্লাবের সদস্যদের তরফে খেলাধুলোর বিকাশ ঘটানোর জন্য ছোট ছেলেমেয়েদের উৎসাহ প্রদান করা হয়। ক্লাবের সভাপতি রঘুনাথ মিশ্র বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান কর্তব্য। যতদিন ক্লাব থাকবে, ততদিন এই কর্তব্য পালন করে যাবেন সদস্যরা। আগামী দিনেও ক্লাবের তরফে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।-নিজস্ব চিত্র