কথামৃত
কথামৃত সত্যানন্দদেব নিত্য তিনবার পাঠ করতেন। কথামৃত পাঠ করার তাঁর বিশেষ পদ্ধতি ছিল। একটি রাহেলের ওপর রাখা থাকত গ্রন্থটি ও তার ওপর একটি ফুল। প্রথমে ফুল দিয়ে পূজো করতেন কথামৃতকে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ৪, ২০২৫
কথামৃত সত্যানন্দদেব নিত্য তিনবার পাঠ করতেন। কথামৃত পাঠ করার তাঁর বিশেষ পদ্ধতি ছিল। একটি রাহেলের ওপর রাখা থাকত গ্রন্থটি ও তার ওপর একটি ফুল। প্রথমে ফুল দিয়ে পূজো করতেন কথামৃতকে। তারপর “তব কথামৃতং তপ্তজীবনং কবিভিরীড়িতং কল্মষাপহম্। শ্রবণমঙ্গলং শ্রীমদাততম্ ভুবি গৃণ্বন্তি যে ভূরিদা জনাঃ।।”—শ্রীমদ্ভাগবতের গোপীগীতার এই শ্লোকটি উচ্চারণ ক’রে কপালে গ্রন্থটি স্পর্শ ক’রে একটি ধ্যানময় প্রণাম নিবেদন ক’রে তবে সুরু করতেন পাঠ। নিত্য পাঠের শেষে ভক্তদের সুমধুর কণ্ঠে একটি ছোট্ট প্রশ্ন করতেন, “কি পেলে?” ভক্তদের মধ্যে যে যে বাণীটি মনে রাখতো সেটী বলতো। কিন্তু এখানেই থামতেন না ঠাকুর। সকলে যাতে কথামৃতের বাণীর মর্ম সম্যক্ উপলব্ধি করতে পারে, শ্রীরামকৃষ্ণবাণী নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করার প্রেরণা লাভ করে, সেজন্য ঠাকুর আবার প্রশ্ন করতেন,—“আচ্ছা, যে বাণীটি বললে, তার তাৎপর্য্য কি বলতো?” সকলেই আপন আপন উপলব্ধি অনুসারে বলার চেষ্টা করত। যথার্থ উত্তর পেলে ঠাকুর খুব খুশী হতেন। বলতেন,—“তোমরা ঠাকুরের দিব্যবাণীর গভীরে প্রবেশ করার একটু চেষ্টা করলেই বুঝতে পারবে যে, ভাবীকালে কি ধর্মজগতে, সমাজক্ষেত্রে, কি বিজ্ঞান জগতে যে সব নতুন নতুন ভাব চিন্তার উদয় হবে ঐ নিরক্ষর জ্ঞানসিন্ধু তার ইঙ্গিত বা আভাস অনেক আগেই দিয়ে গেছেন তাঁর প্রায় প্রতিটি মহাবাণীর মধ্যে। যুগের ঠাকুর কিনা।”
তারপর নিজেই নিত্য কথামৃতের বাণী নিয়ে আলোচনা ক’রে দেখিয়ে দিতেন বাণীগুলির মধ্যে কোথায় কিভাবে অন্তর্নিহিত রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, নীতিবিজ্ঞান, পাশ্চাত্ত্যদর্শন-তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতিতত্ত্ব ইত্যাদি নানা জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিক। এই ক্ষুদ্র পরিসরে সব তো তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই কথামৃতের একটি বাণী নিয়ে ঠাকুরের শ্রীমুখের আলোচনার একটি অংশ মাত্র এখানে উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরছি।
কথামৃতের একটি বাণী: “কিছুদিন নির্জনে থাকতে হয়। …নির্জনে থেকে যদি ভক্তিলাভ হয় তাহলে সংসারে থাকা যায়।” আধ্যাত্মিক দিক থেকে বাণীটি আলোচনা করার পর পদার্থবিজ্ঞানের আলোয় নির্জন বাসের উপযোগিতার দিকটি তুলে ধরছেন। বলছেন সত্যানন্দদেব, “দেখ, নির্জন বাসের একটি বিশেষ দিক আছে। লুই ব্রগলিস্ প্রমুখ পদার্থতত্ত্ববিদ্রা বলেন, আমরা সকলে এক তরঙ্গায়িত বিশ্বে বাস করছি এবং তরঙ্গগুলি বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কম্পন ছাড়া আর কিছুই নয়—We are living in a Universe of waves and the waves are nothing but vibrations of various lengths. আমাদের শরীর ও মনের আবেগ ও অনুভূতিকে এক একটা vibration বা কম্পন বলা যায়। Accoustics science বা শব্দ-বিজ্ঞান বলে—স্পন্দিত বস্তু যে কম্পন বা বেগ সৃষ্টি করে, তাকে স্থায়ী করতে গেলে চাই এমন আর একটা বস্তুর সাহায্য, যাতে অনুরণন বা resonance হতে পারে। এই অনুরণনের সহায়ক বস্তুটিকে বলা হয় resonant body. আমাদের দৈহিক বা মানসিক আবেগ, অনুভূতি, বাসনা, কামনারূপ কম্পনগুলি বহিঃপ্রকাশের জন্যে যদি কোন resonant body অর্থাৎ অনুরণনের সহায়ক বস্তু না পায় তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে থেমে যাবে, অথবা সামান্য প্রকাশের পর তা স্তিমিত হতে হতে লীন হয়ে যাবে।
স্বামী হীরানন্দের ‘আলোর দেবতা সত্যানন্দ’ থেকে
অমৃত কথা
-
অবিদ্যা
- post_by বর্তমান
- জুলাই 17, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 16, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 16, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025