শুক্রবার, 20 জুন 2025
Logo
  • শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

দক্ষিণ দমদমে জন্ডিসের প্রকোপ, ৬ জায়গার জলের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠাল পুরসভা

দক্ষিণ দমদমে জন্ডিসের প্রকোপ বাড়ছে। কয়েক মাস ধরে আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক বাসিন্দারা। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে যুবক, বয়স্কর—কেউ ছাড় পাচ্ছে না

দক্ষিণ দমদমে জন্ডিসের প্রকোপ, ৬ জায়গার জলের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠাল পুরসভা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: দক্ষিণ দমদমে জন্ডিসের প্রকোপ বাড়ছে। কয়েক মাস ধরে আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক বাসিন্দারা। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে যুবক, বয়স্কর—কেউ ছাড় পাচ্ছে না। জলবাহিত এই রোগের উৎস কোথায়, তা না জানা গেলে সংক্রমণ ঠেকানোও মুশকিল। তাই পুরসভার তরফে শহরের তিনটি ওয়ার্ডের মোট ছ’টি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নমুনা বারাসতের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হবে। পুরসভার পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা জল, নাকি খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া বোতলবন্দি পানীয় জল—কোন জল থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলি এখন ধন্দে পড়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। কেএমডিএর জল প্রকল্পের জলের সঙ্গে পুরসভা মাটির নীচ থেকে যে জল তোলে, তা মিশিয়ে শহরবাসীকে সরবরাহ করা হয়। এসব কারণে শহরজুড়ে বোতলবন্দি জলেরই রমরমা। ওই জলের গুণমান খতিয়ে দেখার কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সেই জলই পান করতে বাধ্য হচ্ছে শহরবাসাী। গত কয়েক মাস ধরে শহরের ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশে জন্ডিসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরে ১৩ নং ওয়ার্ডে এক মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী সহ প্রায় আটজন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখনও স্থানীয় কাউন্সিলার তন্দ্রা সরকারের উদ্যোগে পুরসভার পানীয় জল পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তবে তেমন কিছু ধরা পড়েনি। তারপর থেকে এক-দু’জন করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। চলতি মাসে নতুন করে আরও চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও কয়েকজন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তন্দ্রাদেবী বলেন, ‘আমার নিজের ভাইঝিও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে। সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। চিকিৎসকরা বলছেন, জল থেকে জন্ডিসের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু কোন জল থেকে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন জন্ডিসের খবর পাচ্ছি। আমরা পুরসভাকে আবারও বিষয়টি জানিয়েছি। পুরসভার তরফে জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে।’ পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের সিআইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘কিছু এলাকায় জন্ডিসের খবর পাওয়া গিয়েছে। সাত থেকে আটজন আক্রান্ত। বিষয়টি ছোট আকারে থাকলেও আমরা হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। সতর্ক নজর রাখা হয়েছে।’