বৃহস্পতিবার, 15 মে 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

আইএসআইয়ের মদতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত বাংলাদেশে, জেনেছেন গোয়েন্দারা

পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবা ভারতে হামলার লক্ষ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক মজুত করেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত পার করে তা এই রাজ্য দিয়ে পাঠাতে চাইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই সংগঠনের সদস্যদের কাছে।

আইএসআইয়ের মদতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত বাংলাদেশে, জেনেছেন গোয়েন্দারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবা ভারতে হামলার লক্ষ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক মজুত করেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত পার করে তা এই রাজ্য দিয়ে পাঠাতে চাইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই সংগঠনের সদস্যদের কাছে। বাংলাদেশে সক্রিয় লস্কর জঙ্গিরাও তাদের আত্মঘাতী বাহিনী পাঠানোর ছক কষেছে। গোয়েন্দাদের কাছে  এই তথ্য আসার পরই পশ্চিমবঙ্গ সহ যে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তের ওপারে সক্রিয় লস্কর জঙ্গি ও তাদের মেন্টরদের নাম জানার চেষ্টা হচ্ছে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ‘ওয়ার ফ্রন্টে’ ভারতের সঙ্গে পেরে উঠতে পারবে না জেনেই, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে লস্করকে দিয়ে ‘ছায়াযুদ্ধ’ করার সরাসরি মদত দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।  
ভারতে হামলায় লস্করের সদর দপ্তর মুরিদকে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতারা পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।  নিজেদের তৈরি করা এনক্রিপ্টেড অ্যাপে যোগাযোগ রাখছে। তাদের কথোপকথনের জন্য ব্যবহৃত কিছু অ্যাপ ‘ডিসাইফার’ (উদ্ধার) করতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে তারা জানতে পারছেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠনের ভালো ‘বেস’ রয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের দেশের একাধিক জায়গায় তাদের জঙ্গি শিবির চলছে। তাদের সঙ্গে মিলেছে আনসারুল্লা বাংলা টিম, হাট, জেএমবি সহ সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাদের মেসেজ ‘ডিসাইফার’ করে গোয়েন্দারা জানতে পারছেন, পাকিস্তান থেকে লস্করের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের এই সংগঠনের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় ও আইইডি তৈরির। সেইমতো এই অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করে মজুত করে ফেলেছে বাংলাদেশে থাকা এই সংগঠনের শাখা। এর মধ্যে একে সিরিজের আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল পাঠাতে চাইছে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় লস্করের সদস্যদের কাছে। গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, লস্করের মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে খুন করা। একইসঙ্গে বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। যাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি হয়। সেই সঙ্গে তাদের উপস্থিতি তুলে ধরে ভারতকে বোঝাতে চাইছে ‘অপারেশন সিন্দুর’ তাদের দমাতে পারেনি। অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল ঢোকানোর জন্য বাছা হয়েছে বাংলাদেশে লস্করের স্লিপার সেলের সদস্যদের। এই তথ্য পাওয়ার পরই আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত কোন রুটে ঢুকছে, তা চিহ্নিত করে লস্করের পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে চাইছে।