তারাপীঠে রাস্তার উপরেই বালি, পাথর রেখে বেআইনি কারবার
রাস্তার ধারে বালি, পাথর সহ নানা ইমারতি সামগ্রী মজুত রেখে অবৈধ কারবার চলছেই। এবার তা চলে এসেছে একেবারে পিচ রাস্তার উপর।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ১৩, ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রাস্তার ধারে বালি, পাথর সহ নানা ইমারতি সামগ্রী মজুত রেখে অবৈধ কারবার চলছেই। এবার তা চলে এসেছে একেবারে পিচ রাস্তার উপর। পর্যটন কেন্দ্র তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার উপর রমরমিয়ে চলেছে এই কারবার। তার জেরে ঢাকা পড়ছে তোরণ। রাস্তার বড় একটা অংশ ইমারতি সামগ্রীর দখলে চলে যাওয়ায় পর্যটক থেকে স্থানীয়দের চলাচলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং দুর্ঘটনাও ঘটছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের আকর্ষণ হারাচ্ছে তোরণটি।
২০১৫ সালে রামপুরহাটের প্রশাসনিক সভা থেকে টিআরডিএ’র সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তারাপীঠ জুড়ে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। কংক্রিটের জঙ্গল সরিয়ে মন্দির চত্বরে খোলামেলা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। চওড়া রাস্তার দেখুরিয়া মোড়ের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে মা তারার প্রতীকী মুর্তি বসিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়,যা এলাকার মাইল স্টোনে পরিণত হয়। অনেক পর্যটক সেই তোরণের সামনে ছবিও তোলেন। বিশেষ বিশেষ তিথিতে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা রঙের আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় তোরণ। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই তোরণ সামনে বালি, পাথর মজুত রেখে অবৈধ কারবারচলছে। সামনে বর্ষা। তখন নদনদী থেকে বালি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তাই এখন থেকেই বালি মজুত শুরু হয়েছে।
ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমতি সাপেক্ষে বৈধ ঘাট থেকে বালি তুলে মজুত করা যেতে পারে। তবে রাস্তার অন্তত ২০০ মিটার দূরে বালি মজুত করতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। উল্টে রাস্তার উপর চলছে কারবার। নেওয়া হচ্ছে না প্রশাসনিক পদক্ষেপ। ফলস্বরূপ, মজুতকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে, যা সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তেমনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তোরণটি সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রাস্তার ধারে বালি, পাথর বালি মজুত থাকায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়েছে। তার উপরে বালি ও পাথরের স্তূপের কারণে পথচারী বা গাড়ির চালক হঠাৎ করে দেখতে না পেলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।অথচ এই রাস্তা দিয়ে পুলিস প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নিয়মিত যাতায়াত করলেও নজর নেই কারও। তাঁরা বলেন, প্রতিদিন সকালে ডাম্পার বা ট্রাক্টরে বালি, পাথর এনে এখানে আনলোড করা হচ্ছে। পরে তা বিক্রি করা হচ্ছে। কারবারিরা দুষ্কৃতী প্রকৃতির হওয়ায় ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছি না।
রবিবার মোবাইলে রাস্তা সহ তোরণের ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন পরিবার নিয়ে কলকাতা থেকে আগত পর্যটক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যেভাবে বালি, পাথর মজুত রয়েছে, তাতে ছবি ভালো তোলা গেল না। এদিকে রাস্তার উপরেই বালি, পাথর ছড়িয়ে পড়ায় গাড়ির চাকা স্লিপ করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পর্যটকরা। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, তারাপীঠ পর্যটন কেন্দ্রে হাই প্রোফাইল লোকজন আসা-যাওয়া করেন। এভাবে রাস্তার উপর ইমারতি সামগ্রীর কারবার দেখে খুবই খারাপ লাগে।
যদিও এব্যাপারে রামপুরহাট ১ ব্লকের বিএলএলআরও নীলেশ্বর ভট্টাচার্য বলেন, আমি অনেকবারই ওই পয়েন্টটা দেখেছি। আমারও খারাপ লেগেছে। পরবর্তী থ্রি ম্যান কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি তুলব। আপাতত পুলিসকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025