শুক্রবার, 11 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

হোটেলের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মায়াপুর জেটি ঘাটে, নিষেধ শুনছেন না মালিক

মায়াপুর লঞ্চ পারাপারের জেটির ঘাটের ভেতরে নোংরা আবর্জনা থেকে শুরু করে নর্দমা ও শৌচাগারের জল ফেলছেন এক হোটেল ব্যবসায়ী।

হোটেলের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মায়াপুর জেটি ঘাটে, নিষেধ শুনছেন না মালিক

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: মায়াপুর লঞ্চ পারাপারের জেটির ঘাটের ভেতরে নোংরা আবর্জনা থেকে শুরু করে নর্দমা ও শৌচাগারের জল ফেলছেন এক হোটেল ব্যবসায়ী। আর এই সব নোংরা আবর্জনার পাশ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। সেইসঙ্গে দুর্ভোগে পড়ছেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা হাজার হাজার পুণ্যার্থী ও পর্যটক। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মায়াপুর লঞ্চ ঘাটে ঢুকতে বাঁ দিকের ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তিনি দিনের পর দিন একই কাজ করে চলেছন। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি মৌখিকভাবে মায়াপুর পুলিস ক্যাম্পেও জানানো হয়েছে। 
নবদ্বীপ ফেরিঘাট জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির সম্পাদক সুশান্ত হালদার বলেন, মায়াপুরের লঞ্চ ঘাটের পরিবেশ দিনের পর দিন অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে। মায়াপুর লঞ্চ ঘাটে যাওয়ার পথে বাঁ দিকের হোটেল জলঙ্গির মালিক তাঁর হোটেলের নোংরা আবর্জনা এবং মানব বর্জ্য জেটির ফাঁকা জায়গায় ফেলছেন। আমরা বারবার  ওই ব্যবসায়ীকে বারণ করেছি। উনি কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে এই সমস্ত কাজকর্ম করে চলেছেন। ওর হোটেলের নর্দমার জল, শৌচাগারের জল কেন আমাদের জায়গায় পড়বে, ওর নিজস্ব জায়গা থাকতে। মঙ্গলবার আমরা এ বিষয়ে মায়াপুর পুলিস ফাঁড়িতে জানিয়েছি। ফেরিঘাটের এক কর্মচারী বিমল মণ্ডল বলেন, এই লঞ্চ ঘাটের সীমানার ভেতরে যত্রতত্র নোংরা ও আবর্জনার স্তূপ হয়ে গিয়েছে। প্লাস্টিক বোতল, চায়ের কাপ থেকে পলিথিন ব্যাগ, এমনকী হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবারও পড়ছে এখানে। 
মায়াপুর বল্লালদিঘির বাসিন্দা বাচ্চু দাস বলেন, প্রতিদিন মায়াপুর লঞ্চঘাট পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। যাতায়াতের সময় দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়। জেটি ঘাটে দাঁড়ানো যায় না। স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা ভেবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
অভিযোগের তির যে হোটেল কর্তৃপক্ষের দিকে, তাঁরা জানিয়েছেন, নিকাশি ব্যবস্থা থাকলে আমাদের এরকমভাবে নোংরা ফেলতে হতো না। তবু আমরা পরিষ্কার করে দেব। কিন্তু আমাদের তো কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই। আগামী দিনে যদি প্রশাসন নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করে দেয়, আমরা সহায়তা প্রদান করব।
এ প্রসঙ্গে নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন যদি হোটেলের কারণে হয়ে থাকে তবে তাকে কৈফিয়ত দিতে হবে। হোটেল তাকে বন্ধ করে দিতে হবে। তার অপরিচ্ছন্নতার দায় সমাজ নেবে না। যদি এমন অভিযোগ পাই, তৎক্ষণাৎ তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছি।

রাশিফল