বৃহস্পতিবার, 17 জুলাই 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

বাতিল ভোটার কার্ডে ছবি-ঠিকানা বদলে ভুয়ো নথি, ধৃত চক্রের পান্ডা

নির্বাচন কমিশনের বাতিল করা ভোটার কার্ড জোগাড় করে তাতে বসানো হতো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ছবি ও ভারতীয় ঠিকানা। এরপর ওই জাল ভোটার কার্ডকে হাতিয়ার করে তৈরি করা হতো একের পর এক ভুয়ো নথি।

বাতিল ভোটার কার্ডে ছবি-ঠিকানা  বদলে ভুয়ো নথি, ধৃত চক্রের পান্ডা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: নির্বাচন কমিশনের বাতিল করা ভোটার কার্ড জোগাড় করে তাতে বসানো হতো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ছবি ও ভারতীয় ঠিকানা। এরপর ওই জাল ভোটার কার্ডকে হাতিয়ার করে তৈরি করা হতো একের পর এক ভুয়ো নথি। আধার ও প্যান কার্ড তৈরি হলেই পরের ধাপে তৈরি হতো পাসপোর্ট। ভুয়ো নথি তৈরি চক্রের অন্যতম পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে রহড়া থানার পুলিস এই তথ্য জানতে পেরেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম অজয়কুমার দাস। মহেশতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। পুলিস জেনেছে, একের পর এক ভুয়ো নথি বানিয়ে দিয়ে সে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ফি নিত। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত অজয়ের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর এলাকায়। গত পাঁচ বছর ধরে সপরিবারে মহেশতলার এক আবাসনে থাকে। তার কাছে থেকে প্রচুর জাল আধার ও ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক জেরায় পুলিস জেনেছে, সে মহেশতলা এলাকায় জাল নথি তৈরির চক্রের অন্যতম পান্ডা ছিল। জাল নথির গুরুত্ব অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারীদের থেকে ১০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিত সে। ভুয়ো আধার, প্যান ও ভোটার কার্ড তৈরিতে সমস্যা হলে বিহার থেকে আনিয়ে নিত ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, এইসব ভুয়ো নথি তৈরির চক্রে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কয়েকজন কর্মী যুক্ত থাকতে পারেন। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে বড়সড় একটি আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত থাকতে পারে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অজয় কতদিন ধরে এই চক্রে যুক্ত, কতজনকে ভুয়ো নথি দিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি রহড়া থানার পুলিস তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল। ধৃতরা আওয়ামি লিগের সক্রিয় নেতা ও কর্মী ছিলেন। তাদের জেরা করে গত ১০ জুন রহড়া থানার পুলিস মহম্মদ জিয়াউদ্দিন মণ্ডল নামের এক এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে পুলিস অজয়ের হদিশ পায়। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (মধ্য) ইন্দ্রবদন ঝাঁ বলেন, ধৃতের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রে আর কারা যুক্ত, কতদিন ধরে এই চক্র সক্রিয়, কত সংখ্যক নথি তৈরি করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাশিফল