সোমবার, 28 এপ্রিল 2025
Logo
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

‘বাবা নিজেকে অভিনেতা মনে করতেন না’

জিফাইভে মুক্তি পেতে চলেছে বাবিল খান অভিনীত ছবি ‘লগআউট’। তার আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাবা ইরফান খানের সঙ্গে তাঁর বেড়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাবিল।

‘বাবা নিজেকে অভিনেতা মনে করতেন না’

জিফাইভে মুক্তি পেতে চলেছে বাবিল খান অভিনীত ছবি ‘লগআউট’। তার আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাবা ইরফান খানের সঙ্গে তাঁর বেড়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাবিল।

মোবাইলে অনীহা
‘লগআউট’ ছবির গল্প মোবাইল আর তার দুনিয়াকে ঘিরে। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে মোবাইলের প্রতি বাবিলের প্রবল অনীহা! অভিনেতা বলেন, ‘২১ বছর বয়সে প্রথম স্মার্টফোন হাতে পাই। তার আগে বাবা-মা আমাকে মোবাইল দেননি। আমি এপ্রজন্মের হলেও আমাকে অন্য ভাবে বড় করা হয়েছে। তাই আমার কখনও মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়নি। আন্দামান বেড়াতে গিয়ে রেগে মোবাইল ফোন জলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। আসলে এত ফোন আসছিল বলে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার স্ক্রিন টাইম জিরো বা এক মিনিট মতো। আমি ফোনে কথা বলার চেয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করতে বেশি পছন্দ করি।’
আদুরে শাসন
সমসাময়িক আর পাঁচজনের মতো নয়, বরং বাবিলের বড় হয়ে ওঠা অনেকটা অন্যরকম। ইরফান-পুত্র বলেন, ‘আমার বাবা-মা কেউই কঠোর ছিলেন না। আমাকে ওঁরা আদুরে শাসন করতেন। আমার শিক্ষা, আমি যেখানে বড় হয়েছি, আমার খেলনা— কোনও কিছুই গতানুগতিক ছিল না। আমাকে কখনও কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা প্লাস্টিকের খেলনা দেওয়া হয়নি। বিশেষ কাঠ দিয়ে তৈরি খেলনা গ্রাম থেকে বাবা আমার জন্য নিয়ে আসত। এরকম ছোট ছোট জিনিসের প্রতি বাবা-মার নজর ছিল।’ 
তারকা সন্তান
তারকা-সন্তান হওয়ার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দু’টো দিকই আছে। অভিনয়কেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করার পর, বাবিলের উপর তার কতটা প্রভাব পড়ল? অভিনেতার জবাব, ‘আসলে নেতিবাচক দিকগুলো ঠিক দেখা যায় না। বাবা ‘স্টার’ ছিলেন, আবার ছিলেনও না। তারকা-সন্তান হওয়ার কারণে আমি লাইন দিয়ে ছবি পেয়েছি তা নয়। আসলে বাবার এতটাই পরিচিতি, কারও কাছে গিয়ে কাজ চাওয়ার কথা ভাবতেই পারতাম না। সেটা করলে আমি নিজেই নিজের চোখে ছোট হয়ে যেতাম। তাই আমার পরিশ্রম করা জরুরি ছিল। তবে ইরফান খানের ছেলে হওয়ার আলাদা একটা চাপ আছেই।’ 
‌বাবার বিশেষত্ব 
অভিনেতা ইরফানকে চেনেন তামাম দর্শক। কিন্তু বাবা হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন? বাবিল স্পষ্ট বলেন, ‘আমার মনে হয় বাবার বিশেষত্ব ছিল যে উনি অভিনেতা ‘ইরফান’ আর ব্যক্তি ‘ইরফান’কে আলাদা করতেন না। বাবা নিজেকে কখনও অভিনেতা মনে করতেন না। বাবা বলতেন যে উনি মাঝেমধ্যে অভিনয়টা করে ফেলেন। বাবার মতো স্থিরতা এবং মায়ের মতো লড়াকু মনোভাব আমি আয়ত্ত করতে চাই।’ 
মাছে ভাতে বাঙালি
বাবিলের মা সুতপা সিকদার বাঙালি। বাংলার সংস্কৃতি আর রসনার ভক্ত এই তরুণ অভিনেতা। তবে বাংলা ভাষায় ভালো ভাবে কথা বলতে পারেন না। বাবিল হেসে বলেন, ‘মায়ের জন্যই বাঙালি খাবারের প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মেছে। ছোট থেকেই আমি মাছের ভক্ত। একবার মাছ খেতে গিয়ে গলায় কাঁটা আটকে গিয়েছিল। তারপর থেকে মাছের প্রতি আমার ভয় তৈরি হয়েছে। এখনও মা কাঁটা বেছে আমায় মাছ খাইয়ে দেন।’
দেবারতি ভট্টাচার্য • মুম্বই