মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
Logo
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

পূর্বস্থলীতে আমের বাম্পার ফলন, হিমসাগর পাইকারি ১২-১৪ টাকা কেজি

গত বছর আমের ফলন ভালো হয়নি। কিন্তু এবার পূর্বস্থলীজুড়ে আমের ভালো ফলন হয়েছে। জাঁক দেওয়া শুরু হয়েছে বহু বাগানেই। 

পূর্বস্থলীতে আমের বাম্পার ফলন, হিমসাগর পাইকারি ১২-১৪ টাকা কেজি

সংবাদদাতা, কাটোয়া: গত বছর আমের ফলন ভালো হয়নি। কিন্তু এবার পূর্বস্থলীজুড়ে আমের ভালো ফলন হয়েছে। জাঁক দেওয়া শুরু হয়েছে বহু বাগানেই। বোম্বাই, হিমসাগর এখন থেকেই বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১২ থেকে ১৪ টাকায়। মরশুমের শুরুতেই আম নিতে বাগানে হাজির ক্রেতারা। পূর্বস্থলীর চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। রাজ্যে সুনাম রয়েছে পূর্বস্থলীর সুস্বাদু আমের। পূর্বস্থলীতে হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, ফজলি, গোলাপখাস, মিঠুয়া, আম্রপলি ছাড়াও প্রায় তিরিশ প্রজাতির আম চাষ হয়। বিকল্প হিসেবে কৃষিজমিতে আমের বাগান করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ আমের উৎপাদন হয় পূর্বস্থলী থেকে। রাজ্য সরকার আয়োজিত ২০১৬ সালে কলকাতার আম উৎসবে পূর্বস্থলীর হিমসাগর সেরা সুস্বাদু আম হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে। ২০১৭ সালে বীরভূম জেলার আম উৎসবেও সেরা হয়েছে পূর্বস্থলীর আম। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ১০টি অঞ্চল সহ পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচুর আমের বাগান রয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও পূর্বস্থলীর আমের চাহিদা থাকে। এখানকার আম ট্রাকে করে রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও পাড়ি দেয়। এবার গাছ থেকে আম পেড়ে জাঁক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। প্রতিটি বাগানেই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। এরমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাগানে এখনই বোম্বাই, হিমসাগর আম পেড়ে নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাজারের পাশাপাশি বাগান থেকেও এবার পাইকারি বিক্রি করছেন চাষিরা। জামাইষষ্ঠীতে এবার জামাইদের পাতে পড়বে নানা স্বাদের আম। কারণ এবার ফলন ভালো হয়েছেো বাগানগুলিতে বোম্বাই প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা প্রতিকেজি। আর হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ টাকা প্রতিকেজি। পূর্বস্থলীর নবপল্লি এলাকার আমচাষি মর্তুজা শেখ বলেন, এখন থেকেই গাছ থেকে আম পেড়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন থেকেই বোম্বাই, হিমসাগর প্রজাতির আম বিক্রি করছি বাগান থেকেই। ভিন রাজ্যেও আমাদের বাগানের আম যাচ্ছে। পূর্বস্থলীর বরজপোতা গ্রামের চাষি আখিরুল শেখের প্রায় পঞ্চাশ বিঘা আমের বাগান রয়েছে। তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার আমের ফলন মোটামুটি হয়েছে। এক্কেবারে খুব বেশি হয়নি। তবে প্রখর গরমে রৌদ্রে আম গাছের গুটি শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বহু গাছে। মাঝে বৃষ্টি হওয়াতে ফলন ভালো হয়েছে। অন্তত আমের বোঁটা শক্ত হয়েছে। আমও পরিণত হয়েছে। আরেক চাষি নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বৃষ্টিতে আর যাই হোক আমাদের পক্ষে ভালোই হয়েছে। অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হলেও আম গাছের পক্ষে ভালো। 
পূর্বস্থলীজুড়ে অনেকেই লিজ চুক্তিতে আমের বাগান নেন। শ্রমিক নিযুক্ত করে বাগান পরিচর্যা করেন তাঁরা। বাজারে এবার আমের জোগান এবার ভালো হবে বলেই আশা ব্যবসায়ীদের।