বৃহস্পতিবার, 15 মে 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

পাক সেনা হটিয়ে স্বাধীন বালুচিস্তান! স্বীকৃতি চেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবেদন বিদ্রোহীদের

অবশেষে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত মরুতীর্থ হিংলাজের দেশ। বালুচিস্তান এখন স্বাধীন! ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তাদের সেই সুযোগই এনে দিয়েছে।

পাক সেনা হটিয়ে স্বাধীন বালুচিস্তান! স্বীকৃতি চেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবেদন বিদ্রোহীদের

কোয়েটা: অবশেষে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত মরুতীর্থ হিংলাজের দেশ। বালুচিস্তান এখন স্বাধীন! ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তাদের সেই সুযোগই এনে দিয়েছে। একের পর এক হামলা চালিয়ে পাক সেনাকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা। বৃহস্পতিবারও কনভয়ে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা হত্যা করেছে ১২ জন পাক সেনাকে। সেইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে বালুচিস্তানের রাজধানী শহর কোয়েটা দখলেরও। শহর থেকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে পাক সেনা ও পুলিসকে। সরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অ-বালোচদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সমস্ত সরকারি ভবন থেকে পাকিস্তানের পতাকা অপসারিত। তার বদলে বালুচিস্তানের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিশ্বের কাছে নতুন দেশের স্বীকৃতি চেয়েছে বালোচরা। তাঁদের চোখে-মুখে এখন স্বাধীনতার আনন্দ। 
বালোচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) নেতা, কবি ও সমাজকর্মী মীর ইয়ার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আমার এখন স্বাধীন। পাকিস্তানকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছি। নতুন দেশ হিসেবে আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।’ রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও ভারতের কাছেও একই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বালুচিস্তানে বিভিন্ন দেশের কাছে দূতাবাস খোলার আহ্বান জানিয়ে মীর বলেন, শীঘ্রই বালুচিস্তানে নতুন সরকার গঠন করা হবে। তার আগে প্রশাসন থেকে অ-বালোচদের অন্যত্র সরে যেতে হবে। বালোচ মহিলাদের রাখা হবে মন্ত্রিসভায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে শান্তিসেনা পাঠানোরও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কাটগান শহরে পাক সেনার উপর হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। এই হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি বিএলএ মুখপাত্র জয়নাদ বালোচের। 
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাফল্যে হাত রয়েছে বালোচ মহিলা ব্রিগেডের। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মাহরাং বালোচ। তিনি বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির (বিওয়াইসি) নেত্রী। পেশায় চিকিৎসক হলেও মহিলাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার তিনি। পাক সেনার নির্বিচারে হত্যা, অপহরণ, গুম করে দেওয়ার বিরুদ্ধে পথেও নেমেছেন। নিজেদের জন্মভূমির অধিকার আদায়ে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন মাহরাং। তাঁরও চোখেমুখে এখন স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস।