শুক্রবার, 11 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

বিক্রির সময় চার্জার লাগাতেই চুরি করা ফোন অন, পাকড়াও অভিযুক্ত

কসবার একটি দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে ব্যবসায়ীর ফোন হাতিয়ে পালিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। ২১ দিন পর সেই ফোন বিক্রি করতে বড়বাজারের এক দোকানে যায় অভিযুক্ত। সে জানায়, ফোনটি সচল রয়েছে।

বিক্রির সময় চার্জার লাগাতেই চুরি করা ফোন অন, পাকড়াও অভিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবার একটি দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে ব্যবসায়ীর ফোন হাতিয়ে পালিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। ২১ দিন পর সেই ফোন বিক্রি করতে বড়বাজারের এক দোকানে যায় অভিযুক্ত। সে জানায়, ফোনটি সচল রয়েছে। ক্রেতার প্রশ্ন, ‘তাহলে বন্ধ কেন? অন করুন।’ চার্জ নেই, জানালে ওই দোকানি নিজের চার্জার লাগাতেই অন হয়ে যায় ফোনটি। সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন চলে যায় লালবাজারের ওয়ার-রুমে। তৎক্ষণাৎ ওয়াচ শাখার গোয়েন্দারা লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযান চালান ওই দোকানে। হাতেনাতে ধরা পড়ে দুষ্কৃতী। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ তৌফিক (২০)। ওই মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করেছে পুলিস। 
লালবাজার সূত্রে খবর, ২৭ মে ঘটনাটি ঘটে কসবা থানা এলাকায়। এক ব্যবসায়ীর দোকানে ক্রেতা সেজে আসে তৌফিক। টেবিলের উপরেই রাখা ছিল দোকানদারের ফোন। জিনিসপত্র দেখার ছলে সেটি পকেটস্থ করে অভিযুক্ত। তার আগে ফোনটি সুইচড অফ করে দেয় সে। ‘অপারেশন’ শেষে সামগ্রী পছন্দ না হওয়ার বাহানা দেখিয়ে দোকান ছেড়ে চলে যায় তৌফিক। এরপর ব্যবসায়ী দেখেন, তাঁর ফোনটি গায়েব। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেতা সেজে দোকানে আসা ওই ব্যক্তি ফোনটি হাতিয়ে নিয়ে পালাচ্ছে। এরপর পুলিসের দ্বারস্থ হন কসবার ওই ব্যবসায়ী। থানায় প্রমাণ সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রাতেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। ওই মোবাইল ফোন উদ্ধারে নির্দিষ্টভাবে তদন্ত চালায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তভার হাতে নিয়ে চুরি যাওয়া ওই মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করতে নামেন গোয়েন্দারা। কিন্তু শুরুতেই আটকে যায় তদন্ত। দেখা যায়, মোবাইলটি হাতানোর সময় থেকেই বন্ধ। সেটি অন করলেই যাতে লালবাজারে ওয়ার-রুমে নোটিফিকেশন আসে, সেই ব্যবস্থা করেন গোয়েন্দারা। টানা তিন সপ্তাহ সেই ফোনের কোনও অ্যালার্ট আসেনি লালবাজারে। শেষমেশ সোমবার রাতে আচমকা অ্যালার্ট আসে গোয়েন্দা বিভাগে। চুরি যাওয়া মোবাইলটি অবশেষে অন করা হয়েছে। কোন জায়গা? বড়বাজার। নিজেদের টিমকে ‘অ্যাক্টিভ’ করে ওয়াচ শাখা। দেখা যায়, সেই সময় বড়বাজারেই ঘুরছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অ্যান্টি ক্রাইম টিম। দ্রুত লোকেশনটি শেয়ার করা হয় তাঁদের। সেই মতো হানা দেয় পুলিস। অ্যালার্ট পাওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ওই দোকানে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। 
জেরায় তৌফিক পুলিসকে জানিয়েছে, ওই ক্রেতা সেটটি অন করার জন্য বলে। কিন্তু, তাতে চার্জ ছিল না। তাই ক্রেতা নিজেই তাঁর চার্জার গুঁজে দেয় ফোনে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অন হয়ে যায় ফোনটি। তাতেই কিনারা হয় কেসের।

রাশিফল