গঙ্গা দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রিপোর্ট মোদি সরকারের, ডাহা ফেল উত্তরপ্রদেশ সহ ৩ ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য, প্রশংসিত পশ্চিমবঙ্গ
গঙ্গা দূষণ নিয়ন্ত্রণে ডাহা ফেল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সহ তথাকথিত তিন ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য। মোদি সরকারেরই সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বিষয়টি সামনে এসেছে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুলাই ৬, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গঙ্গা দূষণ নিয়ন্ত্রণে ডাহা ফেল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সহ তথাকথিত তিন ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য। মোদি সরকারেরই সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বিষয়টি সামনে এসেছে। গত ১৫ জুন পঞ্চদশ এম্পাওয়ারড টাস্ক ফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা যোগ দিয়েছিলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। ওই রিপোর্টে গঙ্গা দূষণ রোধে বাংলার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারকে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রের রোষে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তিন রাজ্যে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি) প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থে তৈরি অধিকাংশ সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে (এসটিপি) তরল বর্জ্য পরিশোধনের পরও ‘বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড’ বা বিওডি যথাযথ থাকছে না। গাফিলতি ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে এমন এসটিপি নেই একটিও।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিওডি বেশি থাকার অর্থ সেই জলে বেশি মাত্রায় পচনশীল ও জৈব বস্তু মিশে রয়েছে। যে জলের বিওডি যত বেশি, সেই জল তত বেশি দূষিত। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবেশ মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, মেট্রো শহরে বিওডি ২০ এবং নন-মেট্রো এলাকায় ৩০ এর নীচে থাকা বাধ্যতামূলক। উত্তরাখণ্ডে ৫০টি এসটিপির মধ্যে ১৭টি এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ৩৬টির মধ্যে এমন এসটিপির সংখ্যা সাত। বিহারে ১০টির মধ্যে একটি এসটিপি ব্যর্থ। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৫৪টি এসটিপি চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি এনএমসিজির বরাদ্দ অর্থে তৈরি। সবক’টিই পরিবেশ মন্ত্রকের মানদণ্ড বজায় রাখতে পেরেছে। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধনের পরেই তরল বর্জ্য মিশছে গঙ্গায়।
এসটিপির মাধ্যমে নিকাশিনালা দিয়ে আসা নোংরা ও তীব্র দূষিত জল কিছুটা পরিশোধন হয়। তারপর তা গঙ্গায় পড়লে দূষণের তীব্রতা কমে। রাজ্যের শহরাঞ্চলে প্রতিদিন ২৭৫৮ মিলিয়ন লিটার তরল বর্জ্য উৎপন্ন হয়। বর্তমানে চালু ৫৪টি এসটিপির মাধ্যমে প্রতিদিন ১৯৯১.৭৯ মিলিয়ন লিটার জন পরিশোধিত হয়ে গঙ্গায় মিশছে। আরও পাঁচটি এসটিপির সংস্কার এবং ১২টি নির্মাণের কাজ চলছে। সেগুলি শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে প্রতিদিন আরও ৩০০ মিলিয়ন লিটারের বেশি তরল বর্জ্য পরিশোধন সম্ভব হবে। এছাড়াও ৫২৩ মিলিয়ন লিটার দূষিত জল পরিশোধনের ক্ষমতা সম্পন্ন আরও ২৫টি এসটিপি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। এই কাজের মাধ্যমে গঙ্গা দূষণ রোধে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেক এগিয়ে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 19, 2025
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025