শনিবার, 14 জুন 2025
Logo
  • শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নানুর ও লাভপুরে ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ৪টি গোরুর মৃত্যু

বৃহস্পতিবার কালবৈশাখীর ঝড়ে নানুর ও লাভপুরে প্রায় ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পরিবারের বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। কারও আবার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নানুর ও লাভপুরে ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ৪টি গোরুর মৃত্যু

সংবাদদাতা, বোলপুর: বৃহস্পতিবার কালবৈশাখীর ঝড়ে নানুর ও লাভপুরে প্রায় ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পরিবারের বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। কারও আবার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। তাঁরা নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, ঝড়ের পর একদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁরা এখনও পর্যন্ত ত্রিপল বা অন্য কোনও সাহায্য পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার সকালে নানুরের সনসত এলাকায় চারটি গোরুর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝড়ে ওই গ্রাম সংলগ্ন মাঠের মধ্যে তার সহ তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। তাতে চারটি গোরু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শেখ সইদুল্লা বলেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফলতিতেই অবলা জীবগুলির মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোথাও খুঁটি ভগ্নপ্রায়। আবার কোথাও বিপজ্জনকভাবে তার ঝুলে রয়েছে। অথচ দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর নানুর ও লাভপুর থানা এলাকায় প্রবল ঝড় হয়। কীর্ণাহার থানা এলাকাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের দাপটে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। বহু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। দেওয়ালও ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নানুরে ১১০টি এবং লাভপুরে ৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, বোলপুর শহরের সোনাঝুরি জঙ্গল, চিপকুটি জঙ্গল ও বোলপুর থেকে নানুর-কীর্ণাহার যাওয়ার রাস্তা, চারকল গ্রাম থেকে পাপুড়ি যাওয়ার রাস্তাতেও বহু গাছ ভেঙে পড়ে। রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় লাভপুর, নানুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কীর্ণাহার-২ পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুরের সুবীর মাঝি, নুরপুরের শেখ মজিবুল্লা ও শেখ মাজেদার রহমান আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, আমাদের বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। দেওয়ালও ভেঙে পড়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত ত্রাণ তো দূরের কথা, কোনও জনপ্রতিনিধি এলাকায় আসেননি। 
ওই পঞ্চায়েতের প্রধান খাইরুন্নেসা বিবি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাসিন্দাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েতের তরফে খবর নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ব্লক অফিসে পাঠিয়েছি। ত্রিপল ও ত্রাণসামগ্রী এলে তাঁদের দেওয়া হবে।
নানুরের বিডিও সন্দীপ সিংহ রায় ও লাভপুরের বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ত্রিপল এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।