শুক্রবার, 18 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়েই বৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বর্ষণও কিছু স্থানে

 চলতি সপ্তাহে বুধবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের উপর  ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর রবিবার জানিয়েছে। এটি শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়বিদরা মনে করছেন। 

শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়েই বৃষ্টির  সম্ভাবনা, ভারী বর্ষণও কিছু স্থানে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি সপ্তাহে বুধবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের উপর  ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর রবিবার জানিয়েছে। এটি শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়বিদরা মনে করছেন। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায়  ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। বুধবার কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেওয়া হয়েছে এমনই সতর্কতা। শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ‘ওয়াইড স্প্রেড’ (৭৬ থেকে ১০০ শতাংশ জায়গায়) বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরবঙ্গেও এইসময় বেশি বৃষ্টি হবে।
কয়েকদিন আগে দক্ষিণবঙ্গের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হয়। এতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যাপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তার জের এখনও চলছে। ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে এখনও বেশি পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে। মাইথন-পাঞ্চেতের জল আসে দুর্গাপুর ব্যারেজে।  সেখান থেকে এদিনও  ৫৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। এই জল নামছে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি জেলায়। বন্যাপরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন কয়েকদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবীণ  মন্ত্রীদের জেলাভিত্তিক দায়িত্ব দিয়েছেন। আধিকারিকরাও জেলায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করা হচ্ছে। 
বেশি বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন নদী ও বাঁধগুলিতে জলস্তর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ফের বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হলে জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে বিপদের আশঙ্কা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপটি তৈরি হতে চলেছে তার প্রভাবে কোন কোন জায়গায় বেশি বৃষ্টি হবে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত পূর্বভাস রবিবার পর্যন্ত জারি করেনি আবহাওয়া দপ্তর। 
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা এইচ আর বিশ্বাস জানান, আজ সোমবার আরও নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া হতে পারে। ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপটির গতিপ্রকৃতি কী হবে, সেটাও আবহাওয়া দপ্তর এখনও জানায়নি। নিম্নচাপটি ওড়িশার দিকে সরে গেলে দক্ষিণবঙ্গে কম বৃষ্টি হবে। তাহলে এখানে বিপদের আশঙ্কা কম থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। কিন্তু আগের নিম্নচাপটির মতো এটিও দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে এগিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে গেলে বিপদের আশঙ্কা বাড়বে। আগের নিম্নচাপটির যে গতিপথ ছিল তাতে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে খুব বেশি বৃষ্টি হয়। তারপর বেশি বৃষ্টি হয় ঝাড়খণ্ডে। এতে দামোদর ও তার বিভিন্ন শাখানদীসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বেড়ে যায়। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট বাঁধে জলস্তর এদিনও সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার উপরে ছিল। 

রাশিফল