শুক্রবার, 20 জুন 2025
Logo
  • শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

স্লিপার সেলের টাকা জোগাত ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ

পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক পাসপোর্ট জালিয়াতি করে যে টাকা রোজগার করেছিল, তার একটা অংশ এরাজ্যে চলা পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি  সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যদের দিত। 

স্লিপার সেলের টাকা জোগাত ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক পাসপোর্ট জালিয়াতি করে যে টাকা রোজগার করেছিল, তার একটা অংশ এরাজ্যে চলা পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি  সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যদের দিত। একইসঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীর কেউ ভিন রাজ্যে গেলে, তাদের ট্রেনের টিকিট কেটে দেওয়া এবং হোটেলের ব্যবস্থা করে দিত সে। গোটাটাই চলত পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের নির্দেশমতো। ইডি হেফাজতে থাকা আজাদ মল্লিককে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকী স্লিপার সেলের কমপক্ষে ২৫০ সদস্যকে ভুয়ো নথির বিনিময়ে সে পাসপোর্ট করিয়ে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
 বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় আধার, ভোটার প্যান সহ বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করত আজাদ। এগুলির ভিত্তিতে পাসপোর্ট বানিয়ে দিত অভিযুক্ত। আজাদকে জেরা করে এই তথ্য আগেই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারছেন, পুরো প্যাকেজের জন্য দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিত। এভাবে সে বিপুল পরিমাণ টাকা রোজগার করেছে। আজাদ তদন্তকারীদের জানিয়েছে, বেআইনিভাবে আয় করা অর্থের একটা বড় অংশ হাওলা করে পাকিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠীর ফান্ডে পাঠিয়ে দিত। আর বাকিটা এই রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলা স্লিপার সেলের সদস্যদের ছড়িয়ে দিত। এক একটি স্লিপার সেলকে সে এক থেকে দুলক্ষ  করে দিয়ে এসেছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ পর্বে প্রয়োজনীয় আর্মস ও বিস্ফোরক কেনার জন্য বিভিন্ন সময়ে টাকা দিয়েছে বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। সীমান্ত লাগোয়া জেলায় চলা অনুমোদনহীন কিছু মাদ্রাসা তৈরিতেও সে টাকা ঢেলেছে বলে খবর। পাকিস্তান থেকে আইএসআইয়ের শীর্ষ কর্তারা তাকে নির্দেশ দিত, কোথায় কত টাকা পৌঁছে দিতে হবে। সেইমতো টাকা পাঠাত বিভিন্ন জায়গায়। আজাদ তদন্তকারীদের জানিয়েছে, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেবার জন্য সীমান্ত লাগোয়া বেশ কয়েকটি জেলায় জমি দেখেছিল। এই জমি কেনার জন্য টাকা তার দেওয়ার কথা ছিল বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এখানে স্লিপার সেলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা ছিল।  একইসঙ্গে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা নাগরিকদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার পর সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া।  যাতে সেখান থেকে গোপন তথ্য নিয়ে নিজের দেশে পাঠাতে পারে। কোথায় এই পাক চরেরা রয়েছে, আজাদকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।