শনিবার, 14 জুন 2025
Logo
  • শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

জ্যোতিকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছিল পাকিস্তান

ভারত থেকে শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য পাচার নয়, হরিয়ানার ধৃত ইউটিউবার জ্যোতিরানি মালহোত্রাকে পুরোপুরি গুপ্তচর বা ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছিল আইএসআই।

জ্যোতিকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে  তুলতে সক্রিয় হয়েছিল পাকিস্তান

চণ্ডীগড়: ভারত থেকে শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য পাচার নয়, হরিয়ানার ধৃত ইউটিউবার জ্যোতিরানি মালহোত্রাকে পুরোপুরি গুপ্তচর বা ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছিল আইএসআই। শনিবার জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করেছে হরিয়ানা পুলিস। তাকে জেরার পর এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিস। হিসারের পুলিস সুপার শশাঙ্ককুমার সাওয়ান জানিয়েছেন, অপারেশেন সিন্দুর ও তারপরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীনও পাকিস্তান হাই কমিশনের এক অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত জ্যোতি। সংঘাত চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরোধী পোস্টও করেছিল সে। পুলিস সুপার আরও জানান, ভারতীয় সেনা বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গতিবিধি সংক্রান্ত কোনও তথ্য জ্যোতির হাত দিয়ে পাচার হয়েছে বলে এখনও তেমন প্রমাণ মেলেনি। তবে সে একাধিক সন্দেহভাজন ও ভারতে অবাঞ্ছিত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগ রেখে চলত। এর প্রমাণ মিলেছে। বেশ কয়েকবার পাকিস্তান ও একবার চীনে ঘুরতেও যায় জ্যোতি। পুলিস সুপার বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, জ্যোতিকে আইএসআইয়ের অ্যাসেট হিসেবে তৈরি করা হচ্ছিল। অন্য ইউটিউবারদের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধি শুরু করেছিল সে। এটাও এক ধরনের যুদ্ধ, যাতে ওরা (পাক গুপ্তচর সংস্থা) নিজেদের মতবাদ ইউটিউবারদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।’ ধৃত ইউটিউবারের আর্থিক লেনদেন, ভ্রমণের তথ্য, সে কাদের সঙ্গে দেখা করত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জ্যোতির ল্যাপটপ ও অন্যান্য গ্যাজেটের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, জ্যোতি তার আয়ে কীভাবে ভ্রমণের খরচ মেটাত, সেটাও দেখা হচ্ছে। 
কিন্তু জ্যোতির পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির প্রমাণ মিলল কীভাবে? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিজের ভিডিওতেই এর ‘প্রমাণ’ রেখে দিয়েছিল জ্যোতি। গত বছর দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনে ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিল ওই ইউটিউবার। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করে সে। ভিডিওতে একাধিকবার অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রশংসা করা হয়। ওই ভিডিওতেই জ্যোতিকে দূতাবাসের কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে দেখা যায়। দানিশ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জ্যোতির পরিচয় করিয়ে দেন। তদন্তকারীদের মতে, এই দানিশের সূত্রেই চরবৃত্তির কাজে ‘হাতেখড়ি’ হয় জ্যোতির। এই ইউটিউবার সম্পর্কে প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কপিল জৈন নামে এক ব্যক্তি। গত ১০ মে তিনি এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)কে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেলেন, এই মহিলার দিকে দয়া করে নজর রাখুন। তিনি প্রথমে পাকিস্তান দূতাবাসে গিয়েছিলেন, সেখানকার অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারপর পাকিস্তানে ১০ দিনের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন। এখন তিনি কাশ্মীর যাচ্ছেন। এর মধ্যে কোনও লিঙ্ক থাকতে পারে।