শুক্রবার, 11 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

বাদল অধিবেশনের আগেই বহর বাড়ছে মোদি মন্ত্রিসভার! সম্ভাবনা বাংলা থেকেও

সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনের আগেই মোদি মন্ত্রিসভার রদবদল? সরকারের অন্দরে এ নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অক্টোবরে বিহারে ভোট।

বাদল অধিবেশনের আগেই বহর বাড়ছে মোদি মন্ত্রিসভার! সম্ভাবনা বাংলা থেকেও

সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি: সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনের আগেই মোদি মন্ত্রিসভার রদবদল? সরকারের অন্দরে এ নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অক্টোবরে বিহারে ভোট। নীতীশ কুমারকে সামনে রেখে ভোটে গেলেও পরে তাঁর থেকে বিজেপি কুর্সি কেড়ে নিতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। তাই ক্ষোভের আঁচ বাড়ছে জেডিইউয়ের অন্দরে। আর ‘বেগতিক’ এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই বিহারে এবার লালুপ্রসাদ যাদব, রাহুল গান্ধীরা একজোট হয়ে ঝাঁপাচ্ছেন। গেরুয়া শিবিরের পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূলে নয় বাংলাতেও। এই রাজ্যে আবার ভোট পরের বছরই। এমন অবস্থায় রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেছে নেওয়ার অর্থ, মানুষের আস্থা অর্জন। সেটাই করতে চাইছে বিজেপি। একদিকে তাই বিহারে ওবিসি মন জয়ে কৈরি-কুর্মি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি উপেন্দ্র কুশওয়াকে মন্ত্রী করা হতে পারে। একইভাবে বাংলাতেও ভাগ্য সদয় হতে পারে কোনও বিজেপি এমপির।
বাংলা থেকে এখন মন্ত্রিসভায় দু’জন মাত্র সদস্য রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার—শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়নের রাষ্ট্রমন্ত্রী। এবং শান্তনু ঠাকুর— জাহাজ-বন্দর-জলপথ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনের বছর এপ্রিলে ভোট পশ্চিমবঙ্গে। তাই মন্ত্রিসভার রদবদলে বাংলা থেকে কাউকে মন্ত্রী করে ভোটারদের মন পাওয়ার চেষ্টা চালাবেন নরেন্দ্র মোদি। এটাই এখন চর্চার বিষয়। লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে বাংলা থেকে বিজেপির ১৪ সাংসদের মধ্যে থেকে তৃতীয় মন্ত্রী হিসেবে কার ভাগ্য শিকে ছিঁড়বে, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে কৌতূহল কম নয়। বিষ্ণুপুরের তিনবারের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রবল ইচ্ছা মন্ত্রী হওয়ার। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত। আবার রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও দীর্ঘদিনের ‘বিশ্বস্ত’ কর্মী। কিন্তু দিল্লির দরবারের খবর, দক্ষিণবঙ্গের কোনও এমপিকেই বেছে নিতে চান মোদি। বিহার অবশ্য তারও আগে আলোচনার ভরকেন্দ্রে চলে এসেছে। রাষ্ট্রীয় লোকমোর্চার নেতা কুশওয়া বর্তমানে বিজেপির সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ওবিসি ভোটব্যাঙ্কের সিংহভাগ লালুপ্রসাদের দল আরজেডিকে সমর্থন দিয়েছে। বিধানসভায় সেই অংশকে ফেরাতে মরিয়া মোদি। একইভাবে রাজপুত সম্প্রদায়ের ভোট পেতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিহার থেকে রাধামোহন সিং অথবা রাজীবপ্রতাপ রুডির মতো নেতার জায়গা হতে পারে। তৃতীয়-মোদি মন্ত্রিসভায় বিহার থেকে আট মন্ত্রী রয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ করা হবে বলেই খবর।  
তবে মন্ত্রিসভার রদবদলে মোদির ‘চমক’ হতে পারে পাসমন্দা (পিছিয়ে থাকা) মুসলিম মুখ। মোদি মন্ত্রিসভায় কোনও মুসলমান মুখ নেই বলে বিরোধীরা সমালোচনা করে থাকে। তাই জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি নেতা, রাজ্যসভার রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য গুলাম আলি খাটানাকে মন্ত্রী করে বদনাম ঘোচাতে পারেন পারেন মোদি। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি জামাল সিদ্দিকির ভাগ্যেও শিকে ছিঁড়তে পারে। তিনিও কিন্তু পাসমন্দা মুসলমান। 

রাশিফল