বুধবার, 25 জুন 2025
Logo
  • বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

প্রথমবার তালিবান মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা জয়শঙ্করের

 পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আফগানিস্তানকে আরও কাছে টানতে চাইছে ভারত। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

প্রথমবার তালিবান মন্ত্রীর সঙ্গে  ফোনে সরাসরি কথা জয়শঙ্করের

নয়াদিল্লি: পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আফগানিস্তানকে আরও কাছে টানতে চাইছে ভারত। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালিবানরা ফের ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে এটিই প্রথম বৈঠক। নয়াদিল্লি এখনও তালিবান সরকারকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল তালিবানরা। আর তারপরেই জয়শঙ্করের সঙ্গে মুত্তাকির আলোচনা আলাদা তাত্পর্য বহন করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈঠকের পর জয়শঙ্কর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, এদিন আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিন্দা জানানোর জন্য তালিবানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। একইসঙ্গে আফগান নাগরিকদের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ও আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারতের সমর্থনের বিষয়টিও নিজের পোষ্টে উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর।
সূত্রের খবর, দুই দেশ ভবিষ্যতে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে দুই মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন পাকিস্তানি মিডিয়া যেভাবে ভুয়ো খবর তৈরি করে কাবুল ও দিল্লির সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে তালিবানদের যোগ থাকা সংক্রান্ত ভুয়ো খবর মুত্তাকি যেভাবে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেন তিনি। তালিবান সরকারের যোগাযোগ দপ্তরের প্রধান হাফিজ জিয়া জানিয়েছেন, আরও আফগান নাগরিককে যাতে ভারতে চিকিত্সার জন্য ভিসা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে আবেদন করেছেন মুত্তাকি। ভারতে বন্দি আফগানদের মুক্তি ও দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়েও মুত্তাকি জয়শঙ্করের কাছে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়েও দু’জনে আলোচনা করেন। 
ভারতের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত থাকলেও সেই এলাকা এখন পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের চাবাহার বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহণের উপর জোর দিচ্ছে তালিবান সরকার।