রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

তেহরানের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ

চলতি যুদ্ধে ইরান বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)। তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার মধ্য ইজরায়েলে ইরানের একটি ক্লাস্টার বোমা আছড়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত প্রমাণ হাতে এসেছে।

তেহরানের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ

নয়াদিল্লি: চলতি যুদ্ধে ইরান বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)। তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার মধ্য ইজরায়েলে ইরানের একটি ক্লাস্টার বোমা আছড়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত প্রমাণ হাতে এসেছে। চলতি যুদ্ধে এধরনের বোমা ব্যবহারের নজির এই প্রথম। সাধারণত অসংখ্য ছোট ছোট বোমা বা সাব-মিউনিশন একত্রিতভাবে একটি ব্লাস্টার বোমা তৈরি করে। বিতর্কিত এই বোমা সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে কয়েক কিলোমিটার উপরে ফেটে তার ভিতরে থাকা অসংখ্য ছোট বোমা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলি মাটিতে পড়ার পর বড় এলাকাজুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটায়। ইজরায়েলের দাবি, বৃহস্পতিবার ইরানের ব্যবহার করা ক্লাস্টার বোমাটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার উপরে ফেটেছিল। এরপর তার মধ্যে থাকা প্রায় ২০টি ছোট বোমা মধ্য ইজরায়েলের প্রায় আট কিলোমিটার ব্যাসার্ধজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এধরনের ক্লাস্টার বোমার সবচেয়ে বড় বিপদ হল, অনেক সময় মাটিতে পড়ার পরও বেশ কিছু সাব-মিউনিশন ফাটে না। তবে না ফাটলেও সেগুলি সক্রিয় থাকে। অজান্তে কেউ সেই সাব-মিউনিশনের সংস্পর্শে এলেই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে শিশুদেরও প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হয়। পাশাপাশি বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় ক্লাস্টার বোমার ফলে ঘন বসতি এলাকায় বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। ২০০৮ সালে কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিউনিশনস নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় এই বোমার উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে ১১১টি দেশ ও ১২টি প্রতিষ্ঠান ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তবে ইরান, ইজরায়েল, রাশিয়া ও আমেরিকা সহ গুরুত্বপূর্ণ একঝাঁক সামরিক শক্তিধর দেশ সেই চুক্তিতে সই করেনি। এর আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।

রাশিফল