বৃহস্পতিবার, 15 মে 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সোনাঝুরির জঙ্গল নিয়ে জবাব তলব গ্রিন ট্রাইবুনালের, হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকার, বনদপ্তর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে

বেআইনি কার্যকলাপে বিপন্ন শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির জঙ্গল। বীরভূমের লালমাটিতে আপনা আপনিই গড়ে ওঠা এই জঙ্গল প্রাকৃতিক ঐতিহ্যও বটে। 

সোনাঝুরির জঙ্গল নিয়ে জবাব তলব গ্রিন ট্রাইবুনালের, হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকার, বনদপ্তর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেআইনি কার্যকলাপে বিপন্ন শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির জঙ্গল। বীরভূমের লালমাটিতে আপনা আপনিই গড়ে ওঠা এই জঙ্গল প্রাকৃতিক ঐতিহ্যও বটে। কিন্তু রোজ একটু একটু করে এই ‘লালমাটির  জঙ্গলের’ অস্ত্বিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। এমনই অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্য সরকার, বনদপ্তর ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে হলফনামা চাইল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। 
মামলাকারী তথা পরিবেশবান্ধব সুভাষ দত্তের অভিযোগ, শুধুমাত্র স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সোনাঝুরি বনাঞ্চলের জায়গা হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় গড়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল, রিসর্ট, গেস্ট হাউস প্রভৃতি। এছাড়া যেখানে প্রতি শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের হাতে তৈরি সামগ্রী বিক্রির জন্য হাট বসাতেন, সেখানে এখন তিন থেকে চার হাজার দোকানি নিত্য পসরা সাজান। রোজ হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই হাটে। স্বাভাবিকভাবেই নানা ধরনের আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে গোটা বনাঞ্চলে। উপরন্তু এখানে বর্জ্য নিষ্কাশনেরও কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকী, একাধিক গাছ ঘিরে দেওয়া হয়েছে কংক্রিটের বেদি বানিয়ে। আর সেখানেই যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যায় খালি মদের বোতল। রোজ একটু একটু করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওইসব গাছের শিকড়। এই সূত্রেই আপাতত রাজ্য সরকার, বনদপ্তর ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছে বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণকুমার বর্মার বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ২২ জুলাই।