শুক্রবার, 11 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

বাজারে ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে সরকার, দ্রুত গুণমান পরীক্ষার উপর জোর

 সাধারণ জ্বর, সর্দি থেকে ডায়াবিটিসের ওষুধ, ত্বকের মলম, নানাবিধ রোগের ইঞ্জেকশনের একাংশ বাজারে ভেজাল বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে সরকার, দ্রুত গুণমান পরীক্ষার উপর জোর

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাধারণ জ্বর, সর্দি থেকে ডায়াবিটিসের ওষুধ, ত্বকের মলম, নানাবিধ রোগের ইঞ্জেকশনের একাংশ বাজারে ভেজাল বিক্রি হচ্ছে। এধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্র। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গুজরাত, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে তৈরি অনেক ওষুধই জাল বলে ধরা পড়ছে। শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক নিম্নমানের তথা জাল ওষুধ ধরার যে তালিকা দিয়েছে, সেখানে উল্লেখিত রাজ্যগুলির তথ্য স্পষ্ট। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ জানিয়েছে, মে মাসে ধরা পড়া ১৮৬ রকমের জাল ওষুধের মধ্যে দু’টি বিহারে তৈরি। অন্য কোম্পানির নাম ভাঙিয়ে তা তৈরি করেছে এক বেআইনি প্রস্তুতকারক সংস্থা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
জাল ওষুধ তৈরি বা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা অথবা যে আর্থিক অঙ্কের ওষুধ ধরা পড়েছে, তার তিনগুণ টাকা জরিমানা হয়। তা সত্ত্বেও জাল ওষুধ তৈরি বা বিক্রি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’কে সরকার আরও উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে যেসব ল্যাবরেটরি রয়েছে, সেখানে আরও বেশি করে ওষুধ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন চলতি বছরের মে মাসে যে ১৮৬ রকমের ওষুধ ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ ধরা পড়েছে, তার অনেকটাই তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। কোনওটা গত বছরের জুন, আগস্টে। একইভাবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ধরা পড়েছিল ১৯৬ রকমের ওষুধ। সেসব ওষুধের ব্যাচকে জাল বলে কেন্দ্র তকমা দিয়েছিল। সেগুলির অনেকাংশই গতবছরের আগস্ট, ডিসেম্বর মাসে তৈরি। যার মেয়াদই ফুরনোর সময় হয়ত আগামী বছর। নয়ত চলতি বছর। ফলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে যে, নিম্নমানের বলে ধরা পড়ার আগে কিছুটা বাজারে চলে গিয়েছে। হয়ত সাধারণ রোগীরা তা খেয়েও ফেলেছে। তাই ঝুঁকি কমাতে আরও দ্রুত ওষুধের মান পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। 

রাশিফল