ইনফেকশনে কাবু বাঙালি জীবনে সবচেয়ে বড় ‘ভিলেন’ ই-কোলাই, স্বাধীনতার পর জীবাণু নিয়ে সর্ববৃহৎ সমীক্ষা
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫-এর মার্চ—৩০ মাস। রাজ্যের ২৪টি মেডিক্যাল কলেজ এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালের প্রায় পৌনে ৫ লক্ষ রোগী।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ১২, ২০২৫
বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫-এর মার্চ—৩০ মাস। রাজ্যের ২৪টি মেডিক্যাল কলেজ এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালের প্রায় পৌনে ৫ লক্ষ রোগী। নমুনার সংখ্যা ৭৭ হাজার। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে এত বড় সমীক্ষা আগে হয়নি! কী নিয়ে সমীক্ষা? স্বাস্থ্যদপ্তরের এই সমীক্ষা আজকের এবং ভবিষ্যতের অন্যতম বড় বিপদ ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘সুপারবাগ’ নিয়ে। কী পাওয়া গেল সমীক্ষায়? জানা গেল, বাঙালির ইনফেকশন বা সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কারণ হল ই-কোলাই বা এসেরেকিয়া কোলাই বা ই-কোলি ব্যাকটেরিয়া। প্রত্যেক চার বাঙালির মধ্যে একজনকে কাবু করে ই-কোলাই ইনফেকশন। তাই ই-কোলাই এই মুহূর্তে বঙ্গবাসীর রোগভোগের সবচেয়ে বড় কারণ। রাজ্যের মানুষ নানা সময়ে যত ধরনের ইনফেকশনে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সংক্রমণের কারণ এই ই-কোলাই।
কেন এত দাপট এই ব্যাকটেরিয়ার? চিকিৎসকরা বলছেন, মাইক্রোস্কোপে রডের মতো দেখায় এই ব্যাকটেরিয়াকে। এর চরিত্র অদ্ভূত। পেটের মধ্যে যতক্ষণ থাকে, তকক্ষণ কোনও সমস্যা থাকে না। কিন্তু যেই না ইউরিন বা রক্তে মিশে যায়, তখন প্রকাশ পায় এর আসল রূপ। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই (এখন অসংখ্য বাঙালি মহিলার ইনফেকশনের কারণ, কিছু ক্ষেত্রে পুরুষেরও) সহ অধিকাংশ ইউরিন ইনফেকশনের কারণ এই ব্যাকটেরিয়াটি। এছাড়া, রক্তে মিশে যাওয়ার পর অন্ত্র, লিভার সহ একাধিক অঙ্গে সংক্রমণের প্রধান কারণ হয়ে ওঠে এই ব্যাকটেরিয়া। সিরোসিস হয়ে পেটে জল জমা, লিভারে পুঁজ হওয়ার মতো নানা সমস্যা শুরু হয়। বহু বাঙালি বেড়াতে গিয়ে ডায়ারিয়ার কবলে পড়েন। এই ধরনের ‘ট্র্যাভেল ডায়ারিয়া’র মুখ্য কারণ হল ই-কোলাই। নিম্ন মানের জল পান করে পেটের অসুখ হলে, সিংহভাগ ক্ষেত্রে ই-কোলাইর কারণেই তা হয়ে থাকে। বিশিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুগত দাশগুপ্ত বলেন, ‘এক কথায় বলা যেতে পারে, পেট ও ইউরিনে যত ইনফেকশন হয় এই রাজ্যের মানুষের, তার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ভিলেনের নাম ই-কোলাই।’ এছাড়া আরও যে চারটি ব্যাকটেরিয়া চিকিৎসকদের ঘুম কেড়েছে, সেগুলি হল ক্লেবসিয়েলা, স্টেফাইলোকক্কাস, সিউডোমোনাস এবং অ্যাসিনেটোব্যাকটর। এর মধ্যে অ্যাসিনেটোব্যাকটর আবার রাজ্যের আইসিইউ রোগীদের সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কারণ। হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক রোগ নিয়ে, বেশ কয়েকদিন থাকতে থাকতে অন্য রোগে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন—চিকিৎসা পরিভাষায় এমন পরিস্থিতিকে বলে ‘হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন’। এই ধরনের সংক্রমণের প্রধান কারণ অ্যাসিনেটোব্যাকটর। একবার ধরলে প্রাণঘাতী নিউমোনিয়ার ভয় পর্যন্ত থাকে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই সংক্রমণের প্রধান উৎস চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, যেমন ভেন্টিলেটর, সেন্ট্রাল লাইন ইত্যাদি।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025