সোমবার, 28 এপ্রিল 2025
Logo
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আমেরিকায় বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা চীনের

দিন দিন আরও ঘোরালো হচ্ছে চীন-আমেরিকার ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির ‘পালটা মার’ দিয়েই চলেছে চীন।

আমেরিকায় বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা চীনের

ওয়াশিংটন: দিন দিন আরও ঘোরালো হচ্ছে চীন-আমেরিকার ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির ‘পালটা মার’ দিয়েই চলেছে চীন। প্রথমে আমেরিকার সমস্ত পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে তারা। এবার বিরল খনিজ বা রেয়ার আর্থ মিনারেল সহ বিভিন্ন ধাতু ও চুম্বক আমেরিকায় রপ্তানিতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বেজিং। এর ফলে প্রতিরক্ষা, ইলেক্ট্রনিক্স, গাড়ি শিল্প, এরোস্পেস, সেমি কন্ডাক্টর শিল্প সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, আমেরিকার সঙ্গে দ্বৈরথের আবহেই রপ্তানির পরিমাণ বাড়ল চীনের। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে চীনের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ১২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির হার প্রত্যাশিত ৪.৪ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই বেশি।  তাছাড়া এই বৃদ্ধির হার গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে, একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ৪.৩ শতাংশ কমেছে জিনপিংয়ের দেশের।
‘রেয়ার আর্থ মিনারেল’কে সহজ বাংলায় ‘বিরল খনিজ’ বলা যেতে পারে। এগুলি মূলত খনিজ পদার্থ, যা পৃথিবীতে খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায় এবং ইলেকট্রনিক্স, চুম্বক বা আধুনিক প্রযুক্তি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মনে করা হচ্ছে, এধরনের খনিজ সরবরাহ আচমকা বন্ধ হলে আমেরিকার প্রযুক্তি শিল্প সঙ্কটের মুখে পড়বে। বিশেষ করে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। বাড়তে পারে উৎপাদন খরচও। আমদানি ও রপ্তানির এই বিপরীত ছবি প্রসঙ্গে চীনের কাস্টমস প্রশাসনের মুখপাত্র লিউ ডালিয়াং জানিয়েছেন, বর্তমানে বিভিন্ন জটিল ও গুরুতর বাহ্যিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে চীন। তারই প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যে। তবে এখনই আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়নি বলেই জানান তিনি। আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়া নিয়ে তাঁর সাফ কথা, ‘বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও চীনের সামনে আমদানি বৃদ্ধির প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। আমদানির নিরিখে টানা ১৬ বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বড় দেশ হিসেবে জায়গা ধরে রেখেছে চীন। আগামীদিনে ১ নম্বর স্থান দখলই আমাদের লক্ষ্য।চীনের বিশাল বাজার সারা বিশ্বের কাছে একটা বড় সুযোগ।’