ব্রহ্ম
কলিকে বললেন পরীক্ষিৎ, তুমি রাজা হলে তোমার পশ্চাতে লোভ-মিথ্যাচার-চৌর্যবৃত্তি-অনাচার-স্বধর্মত্যাগ-অলক্ষ্মী-কপটতা-কলহ-অহঙ্কার প্রভৃতি অজস্র অধর্মরাশি দেশে উপস্থিত হবে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ২৮, ২০২৫
কলিকে বললেন পরীক্ষিৎ, তুমি রাজা হলে তোমার পশ্চাতে লোভ-মিথ্যাচার-চৌর্যবৃত্তি-অনাচার-স্বধর্মত্যাগ-অলক্ষ্মী-কপটতা-কলহ-অহঙ্কার প্রভৃতি অজস্র অধর্মরাশি দেশে উপস্থিত হবে। অতএব হে অধর্মবন্ধু কলি, যেখানে যজ্ঞনিপুণ যাজ্ঞিকেরা নিরন্তর যজ্ঞানুষ্ঠানের দ্বারা যজ্ঞেশ্বর শ্রীহরির ভজনা করেন, সত্য ও ধর্মের আশ্রয়স্থল সেই ব্রহ্মাবর্তে তোমার থাকার স্থান হতে পারে না। যে ব্রহ্মাবর্তদেশে সকল যজ্ঞের প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রীহরি যাজ্ঞিকের দ্বারা পূজিত হয়ে তাদের অবশ্যম্ভাবিরূপে অভীষ্টপূরণ ও সুখ বিধান করেন এবং বায়ুরূপে জড়-জঙ্গম সকল প্রাণীর বাহিরে ও অন্তর্যামিরূপে ভিতরে বিরাজিত, সেই দেশে তোমার কোন স্থান নেই।
সূত বললেন, এইভাবে রাজা পরীক্ষিতের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে, কম্পিত দেহে, সেই দণ্ডধর রাজা তরবারী উত্তোলন করে তাকে শাস্তিদানে উদ্যত হয়েছেন দেখে এইরূপ বলল। কলি বলল, হে সার্বভৌম রাজন্, আপনার আজ্ঞা যদি গ্রহণ করি, তাহলে এই পৃথিবীর কোন্ স্থানে আমি বাস করতে পারব? সর্বত্রই তো আমি ধনুর্বাণধারী আপনাকেই দেখছি। কলি বলল, হে ধার্মিক প্রবর, আপনার আদেশ শিরোধার্য করে, যেখানে আমি নিশ্চিন্তে সর্বদা বাস করতে পারি, এমন স্থান আমাকে নির্দিষ্ট করে দিন।
সূত বললেন, এইভাবে কলি বিশেষভাবে প্রার্থনা করায়, রাজা পরীক্ষিৎ তাকে দ্যূতক্রীড়া, মদ্যপান, স্ত্রীসঙ্গ ও অকারণ প্রাণিহত্যা—এই চারটি অধর্মযুক্ত স্থান বাস করার জন্য দিলেন। পূর্বের চারটি স্থান পেয়েও কলি সন্তুষ্ট হলো না। সে আরো স্থান প্রার্থনা করায় পরীক্ষিৎ তাকে সুবর্ণ দান করলেন। এই সুবর্ণদানের মধ্য দিয়ে কলিকে অনৃত, মদ, কাম, রজো ও বৈর—এই পাঁচ প্রকার অধর্মের স্থানও দেওয়া হলো।
উত্তরার পুত্র রাজা পরীক্ষিৎ কলিকে পাঁচটি স্থান নির্দিষ্ট করে দিলে রাজার আদেশে কলি সেখানে বাস করতে লাগল। সুতরাং আত্মোন্নতিকামী ব্যক্তিগণ, বিশেষতঃ ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি, রাজা, লোকপাল ও গুরুগণ সুবর্ণাদি অনর্থস্থান থেকে সর্বদা দূরে থাকেন। কখনো ওই সকল ভোগ্যবস্তুতে আকৃষ্ট হন না। অতঃপর মহারাজ পরীক্ষিৎ ধর্মের তপস্যা, শৌচ ও দয়া—বিনষ্টপ্রায় এই তিনটি চরণ পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করলেন এবং ধরণীকেও আশ্বাসদান করে তাঁর মনে আনন্দ সৃষ্টি করলেন।
বনগমনে ইচ্ছুক পিতামহ যুধিষ্ঠির যাবার প্রাককালে যে উপযুক্ত রাজসিংহাসন প্রদান করেছিলেন, সেখানে এখন রাজা পরীক্ষিৎ উপবিষ্ট। কৌরব-রাজলক্ষ্মীর প্রসাদে দেদীপ্যমান সেই মহাযশস্বী রাজচক্রবর্তী রাজর্ষি ইদানীং হস্তিনাপুরে বিরাজ করছেন।
অধ্যাপিকা গীতা মাইতি অনুদিত ‘শ্রীমদ্ভাগবতম্’ (১ম স্কন্ধ) থেকে
অমৃত কথা
-
‘বিবেকচূড়ামণি’
- post_by বর্তমান
- জুলাই 19, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025