রাজ্যের ৩৪৮টি সরকারি স্কুল পড়ুয়াশূন্য, কলকাতারই ১১৯টি, বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি তুলে আনার পরিকল্পনা
কোনওটি স্বাধীনতার আগে পথ চলা শুরু করেছে। কোনও প্রতিষ্ঠান আবার স্থাপন হয়েছে চলতি শতাব্দীর শুরুতে। বয়স যাই হোক না কেন, আজ একটিই মিল এই প্রত্যেক স্কুলে। একসময় গমগম করা ক্লাসঘরগুলিতে এখন পড়ুয়া নেই।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ১৬, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কোনওটি স্বাধীনতার আগে পথ চলা শুরু করেছে। কোনও প্রতিষ্ঠান আবার স্থাপন হয়েছে চলতি শতাব্দীর শুরুতে। বয়স যাই হোক না কেন, আজ একটিই মিল এই প্রত্যেক স্কুলে। একসময় গমগম করা ক্লাসঘরগুলিতে এখন পড়ুয়া নেই। কারণ, রাজ্যের এমন ৩৪৮টি সরকারি স্কুলে এখন কোনও ছাত্রছাত্রী ভর্তিই হয় না। যাকে বলা হচ্ছে ‘জিরো এনরোলমেন্ট’। শহর হোক কিংবা গ্রাম, এইসব স্কুলের দুর্দশার চিত্র কমবেশি প্রায় এক। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এমনই হাল হয়ে রয়েছে এইসব স্কুলের। তাই এবার বিকল্প ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। স্থির হয়েছে, এখন ভাড়াবাড়িতে চলা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে সেই সব পড়ুয়াশূন্য স্কুলে স্থানান্তর করা হবে। এমনই পরিকল্পনা করছে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর। তারা দপ্তরের কাছ থেকে এই পড়ুয়াশূন্য স্কুলের তালিকা পেয়েছে। এরপরই জেলায় জেলায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন স্কুলে কতগুলি এমন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সরানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে দপ্তর।
পড়ুয়াশূন্য স্কুলের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ১১৯টি স্কুলে গত চার বছরে একজনও ছাত্র বা ছাত্রী ভর্তি হতে আসেনি। উত্তর ২৪ পরগনার ৬০টি স্কুলে একই পরিস্থিতি। পড়ুয়াশূন্য স্কুল হলেও সেগুলি সরকারিভাবে বন্ধ বলে ঘোষণা করেনি শিক্ষাদপ্তর। ৩৪৮টি স্কুলের মধ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এমনকী হাইস্কুলও রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলা মাধ্যম। হাতেগোনা কিছু হিন্দি ও নেপালি মাধ্যমে স্কুলও রয়েছে।
প্রশ্ন হল, তাহলে এখানকার শিক্ষকদের কী হল? সূত্রের খবর, অনেক জায়গা থেকেই অতিরিক্ত শিক্ষককে সরিয়ে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি, সেখানে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও একজন বা দু’জন করে রেখে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ ভর্তি হতে আসে, তাহলে সেই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সেরে ফেলতে পারবেন। কিছু স্কুলে আবার শিক্ষকরা অবসর গ্রহণ করার পর কেউ নেই।
কেন চার বছর ধরে এই স্কুলগুলিতে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হল না? শিক্ষকদের একাংশের দাবি, শহরাঞ্চলে বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে ভর্তির প্রবণতা বেড়েছে। মাধ্যমিকের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারের বক্তব্য, ‘সার্বিকভাবে শিক্ষক নিয়োগে ঘাটতি, সঠিক শিক্ষানীতির অভাব এবং পরিকাঠামগত উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্নেই ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
তবে এরই মধ্যে স্কুলগুলির পরিকাঠামো কাজে লাগাতে চাইছে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর। কারণ, বর্তমানে একটা বড় সংখ্যক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বিভিন্ন ক্লাব, ভাড়াবাড়ি অথবা কোনও গৃহস্থের উঠোনে চলে। সেখানে জল, শৌচালয় সহ নানা পরিষেবা পেতেও সমস্যা হয়। তাই এইসব স্কুলে যদি সেন্টারগুলি সরানো যায়, তাহলে সেখানকার শিশুরা যথাযথ পরিবেশ ও পরিষেবা পাবে।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 23, 2025
অমৃত কথা
-
সন্ন্যাসী
- post_by বর্তমান
- জুন 23, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 21, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 21, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 21, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 22, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 22, 2025