সোমবার, 28 এপ্রিল 2025
Logo
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

যক্ষ্মা রোগীদের ‘দত্তক’ নিয়ে নজির স্বাস্থ্যসচিব সহ ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্তার

যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্যে এবার নিজেরাই ‘নিক্ষয় মিত্র’ (রোগীদের সুষম খাদ্যপ্রদানের জন্য অর্থসাহায্য করা, এক কথায় ‘দত্তক’ নেওয়া) হয়ে নজির গড়লেন স্বাস্থ্যভবনের পদস্থ আধিকারিকরা। 

যক্ষ্মা রোগীদের ‘দত্তক’ নিয়ে নজির স্বাস্থ্যসচিব সহ ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্যে এবার নিজেরাই ‘নিক্ষয় মিত্র’ (রোগীদের সুষম খাদ্যপ্রদানের জন্য অর্থসাহায্য করা, এক কথায় ‘দত্তক’ নেওয়া) হয়ে নজির গড়লেন স্বাস্থ্যভবনের পদস্থ আধিকারিকরা। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সহ প্রায় ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্তা ৪২ জন যক্ষ্মা রোগীর ‘নিক্ষয় মিত্র’ হলেন। ‘নিক্ষয় মিত্র’রা যক্ষ্মা রোগী পিছু মাসে মাসে ৫০০ অথবা ৭০০ টাকা অর্থসাহায্য করেন। এককালীন ৬ মাস বা ৮ মাসের টাকা দিয়ে দিতে হয়। এই অর্থ দিয়ে রোগীদের জন্য পুষ্টিকর সুষম খাদ্য কেনা হয়। মাসে ৫০০ টাকা অর্থসাহায্যে ডিম ছাড়া এবং মাসে ৭০০ টাকা অর্থসাহায্যে রোগীদের জন্য ডিম সহ সুষম খাদ্য কেনা হয়। স্বাস্থ্যসচিব, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা, অধিকর্তা (আয়ুর্বেদ), রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক, রাজ্য যক্ষ্ণা আধিকারিক, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্সের অধিকর্তা সহ স্বাস্থ্যদপ্তরের ৩০ জন পদস্থ আধিকারিক যক্ষ্মা রোগীদের ‘দত্তক’ নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ‘দত্তক’ নিয়েছেন পদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিক অদিতি দাশগুপ্ত। তিনি পাঁচ জন রোগীর ‘নিক্ষয় মিত্র’ হয়েছেন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান ‘নিক্ষয় মিত্র’ হয়েছে। সবশুদ্ধ তাঁদের সংখ্যা এখন ১১০০। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যক্ষ্মা রোগীকে ‘দত্তক’ নিয়েছে স্টিল নির্মাতা একটি প্রতিষ্ঠান। রামকৃষ্ণ মিশনও বহু রোগীর ‘নিক্ষয় মিত্র’ হয়েছে। বুধবার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘দত্তক’ নেওয়া রোগীদের হাতে খাদ্যের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেন সহ পদস্থ কর্তারা। প্রসঙ্গত, বিধাননগর যক্ষ্মা ইউনিটে সবশুদ্ধ ১৭২ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই ৪২ জনকে ‘দত্তক’ নেওয়া হয়েছে। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম গুহ রোগীদের উদ্দেশে বলেন, ’২১ বছর আগে আমি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ায় আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাহলে আপনারা পারবেন না কেন?’