নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মৌসম চট্টোপাধ্যায়ের দেহ এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেইমত দেহের ময়নাতদন্ত হয়। শুক্রবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। 
এদিন মৃত মৌসম চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে দাবি করেন, মৃতের দেহে ভোতা বস্তুর দিয়ে একাধিক আঘাতের প্রমাণ মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়েছে। তাই জেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক। এছাড়াও রাজ্য এব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দিক। এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। ১০ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি। ওইদিন রাজ্যকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ঘটনার দিনের জেলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজও সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। 
অতীতে ঠিকাদারি কারবারের সঙ্গে যুক্ত মৌসমকে মাদক মামলায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণেশ্বর থানা। পুলিসি হেফাজতের পর প্রথমে বারাকপুর এবং পরে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে মৌসমকে রাখা হয়েছিল। তিনি অসুস্থ ছিলেন। মৌসমের মায়ের অভিযোগ, জেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তখন ছেলে জানায়, তাঁর চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই করা হচ্ছে না। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে মৌসমের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, হাইকোর্ট আগেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও জেল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা করেনি। তারই জেরে মৃত্যু হয়েছে। এবার দেহে আঘাতের কথাও তুললেন মৌসমের আইনজীবী।