রাজকোট: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ওপেনিং স্লট কার্যত পাকা করে ফেলছেন সঞ্জু স্যামসন। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচেও ইনিংসের সূচনায় অভিষেক শর্মার পার্টনার হয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর ব্যাটে  ঝাঁঝ দেখা যায়নি। ইডেনে ২৬ রান করলেও চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ রানে আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সঞ্জু। দু’টি ক্ষেত্রেই শর্ট বল খেলতে গিয়ে বিপদে পড়েন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানটি। তাই রাজকোটে তৃতীয় ম্যাচে নামার আগে ভুল শুধরে নিতে সিমেন্টের পিচে প্র্যাকটিস করতে দেখা গেল তাঁকে। থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে নাগাড়ে তিনি শর্ট বলে পুল ও হুক প্র্যাকটিস করেন। আসলে নতুন বলে ইংল্যান্ডের দুই পেসার জোফ্রা আর্চার এবং মার্ক উড সমস্যায় ফেলছেন সঞ্জুকে। উইকেট বাঁচিয়ে কীভাবে রানের গতি সচল রাখা যায়, প্র্যাকটিসে সেই পথ খোঁজার চেষ্টা করলেন তিনি। তাঁর এই প্রয়াস বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই দেখার।
এদিকে, মহম্মদ সামির কামব্যাক নিয়ে জল্পনা চলছেই। শেষবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে তিনি খেলেছিলেন ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল। তারপর চোটের কারণে দীর্ঘ ১৪ মাস তিনি টিম ইন্ডিয়া থেকে বাইরে ছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেও সামির ঠিকানা আপাতত রিজার্ভ বেঞ্চ। রাজকোটের পিচে মূলত বড় রান দেখা যায়। কিছুটা সুবিধা পান স্পিনাররা। সেই অঙ্কে সামির ভাগ্যের চাকা ঘোরার সম্ভাবনা কম। ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক সোমবার এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সামি ফিট। তবে ও এই ম্যাচে খেলবে কিনা, সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কোচ ও ক্যাপ্টেন সিদ্ধান্ত নেবে।’ ক্রিকেট মহলের একাংশের ধারণা, সামি যেহেতু সদ্য চোট সারিয়ে উঠেছেন, তাই তাঁকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ কোচ গম্ভীর। তাঁর লক্ষ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিট সামিকে খেলানো।