সংবাদদাতা, রাজারহাট: রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তাই এই পুজোকে ঘিরে লক্ষ্মীলাভের আশায় বুক বাঁধছেন রাজারহাটের গাঁদা ফুলের চাষিরা। রাজারহাট ব্লকের পাথরঘাটা ও চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ পাথরঘাটা উত্তরমাঠ, শিখরপুর, ঝালগাছি, বাগু, নয়াবাদ ইত্যাদি এলাকায় গাঁদা ফুলের চাষ হয়। এখন মাঠ জুড়ে রয়েছে গেরুয়া ও বাসন্তী রঙের ফুল। লক্ষ্মীপুজোয় গাঁদা ফুলের চাহিদা হয় বিরাট। সেই বাজার ধরতে এই মুহূর্তে রাজারহাটের ফুল চাষিদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জমি ঘুরে দেখা গেল, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত খেত থেকে ফুল তুলছেন চাষিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জমি থেকে ফুল তুলে রাতে মালা গাঁথা হবে। সেই কাজে বাড়ির মহিলাদের পাশাপাশি অতিরিক্ত মজুরও লাগে। মালাগুলি সতেজ রাখতে রাতে খোলা আকাশের নীচেই রাখা হবে। পরের দিন সকালে এগুলি হাওড়া, মল্লিকঘাট, শিয়ালদহের ফুল বাজার চলে যাবে। অনেক চাষি আবার স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করেন। পাথরঘাটা উত্তরমাঠের ফুলচাষি মহাদেব মণ্ডল বলেন, ‘মালা গাঁথার পর তৈরি হয় ঝুপড়ি। একেকটি ঝুপড়িতে থাকে কুড়িটি মালা। একেকটি ঝুপড়ি তৈরির মজুরি ১৫-২০ টাকা। ফুলের চেহারা অনুযায়ী ঝুপড়ির দর ঠিক হয়। মোটামুটিভাবে বাজারে তা বিক্রি হয় ২০০-২৫০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা খোলা বাজারে প্রতিটি মালা বিক্রি করেন ১৫-১৮ টাকায়। বর্তমান বাজারে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরেও গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে’। চাঁদপুরের কৃষক রিন্টু কর্মকার বলেছেন, ‘গাঁদা ফুলের বাজার চড়া থাকে বিশ্বকর্মা পুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত। তবে এবার পুজোয় ফুলের দাম বাড়লেও আমাদের বিশেষ লাভ হচ্ছে না। কারণ, দিনকয়েক আগে টানা বৃষ্টিতে গাঁদা ফুলের গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও মাঠ থেকে ফুল তোলা এবং তা বাজারজাত করার খরচ রয়েছে। মালা গাঁথার খরচ আলাদা। মজুরির পাশাপাশি মালা গাঁথার জন্য পাটের সুতলি, বড় সূচ কিনতে হয় চাষিদের।  নিজস্ব চিত্র