মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
হালদার বাড়ির সদস্য বাসুদেব হালদার বলেন, হরিশচন্দ্র হালদার বর্ধমান রাজার অধীনে দেওয়ান ছিলেন। সেই সূত্রে তিনি এলাকায় রাজা হরিশচন্দ্র নামে পরিচিত ছিলেন। দেবী দুর্গা তাঁকে একদিন বালিকার বেশে স্বপ্নাদেশ দেন। পুজো করার নির্দেশ দেন। তারপরেই তিনি তালপাতার ছাউনি দেওয়া মণ্ডপে প্রথম পুজো শুরু করেন। তবে দেবীর আদেশেই তিনি শিব-দুর্গার একচালায় প্রতিমা তৈরি করে পুজো করেন।
অপর সদস্য সিতু হালদার বলেন, তালপাতার ছাউনি দেওয়া মন্দির পরে মাটির এবং বর্তমানে পাকা স্থায়ী মন্দির করা হয়েছে। তিনটি পরিবার মিলে একসঙ্গে পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রাচীন নির্ঘণ্ট মেনে পুজোর আয়োজন হয়।
সদস্য উৎপল হালদার বলেন, আমাদের পুজোয় স্থানীয় সায়রপুস্করিণীতে নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয়। সপ্তমীর দিন ছাঁচি কুমড়ো, অষ্টমী ও নবমীর দিন জামির, আখ ও ছাঁচি কুমড়ো এবং দশমীর দিন চ্যাং মাছ বলি হয়। অষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর সময় এবং বাকি দিনে পুজোর শেষে বলিদান হয়। আমাদের পুজোয় মহাপ্রসাদ হিসেবে খই ও চালের নাড়ু করা আবশ্যক। বাড়ির মহিলারাই তা তৈরি করে। নবমী ও দশমীতে নিমন্ত্রিতদের প্রসাদ খাওয়ানো হয়।
দেবাশিস হালদার বলেন, আমাদের দেবী কামরাঙা খেতে ভালোবাসেন। আমাদের পরিবারের পূর্বপুরুষ বাদলচন্দ্র হালদারকে দেবী স্বপ্নে কামরাঙা খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীকে অন্যান্য ফলের সঙ্গে নৈবেদ্য হিসেবে কামরাঙা দেওয়া হয়।
তরুণ হালদার বলেন, আমাদের দেবী ভীষণ জাগ্রত। প্রতিবছর আমরা আশ্চর্যজনকভাবে সিঁদুরের উপর মায়ের পায়ের ছাপ দেখতে পাই। অষ্টমীর সন্ধিপুজোর সময় মায়ের আগমনের জন্য এক কৌটো সিঁদুর একটি পাত্রে ঢেলে তা দেবীর ডান পায়ের কাছে ঢেকে রাখা হয়। দশমীর দিন বিসর্জনের পর তা খোলা হয়। তখনই ওই সিঁদুরের উপর মায়ের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবার তা দেখা যায়। কোনওবারে এক পায়ের ছাপ থাকে। কখনও আবার দুই পায়েরই ছাপ স্পষ্ট দেখা যায়। অষ্টমী ও নবমীতে ফুল চড়ানো হয়। সন্ধিপুজোর সময় বাড়ির মহিলারা ১০৮টি প্রদীপ জ্বালেন। এবারে আমাদের পুজো ৩১৪বছরে পড়লে। পুজোয় আত্মীয়রা আসে। সকলে মিলে পুজোর দিনগুলিতে আনন্দ করা হয়।