Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, কী বিষয়ে আন্দোলন হবে, কী নিয়ে ফেসবুক উত্তাল করতে হবে অথবা কোন বই, কোন সিনেমা, কোন গান, কোন উৎসবকে ভালো বলা হবে কিংবা খারাপ তকমা দেওয়া হবে, সেটা স্থির করা এবং নিদান দেওয়ার দায়িত্ব তাদের উপরই রয়েছে। যেহেতু তারা শিক্ষিত, উচ্চমধ্যবিত্ত এবং পেশাগতভাবে নিরাপদ, তাই তাদের মনোভাব হল, আমরাই বাঙালি জাতির দিশানির্দেশক। 
অথচ দেখা যাচ্ছে, বাংলার সাফল্যের বিচারে এই বাবু সমাজের তুলনায় বছরের পর বছর ধরে অনেক এগিয়ে চলেছে গ্রামীণ বাংলা, অনগ্রসর বাংলা অথবা শিক্ষা অথবা অন্য পরিকাঠামোর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত নিম্নবর্গের বাংলা। পক্ষান্তরে, বাবু সমাজ কোনও বড়সড় অ্যাচিভমেন্ট দেখাতে পারছে না ভারতের মানচিত্রে।
বিগত বছরের পর বছর ধরে ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন রাজ্য কোনটা? বাংলা। দেড় কোটি মেট্রিক টন ধান বাংলা শেষ আর্থিক বছরে উৎপাদন করেছে। আমন, আউশ, বোরো চাষে আবার ভারত সরকারের পরিসংখ্যানে দেশের সর্বোচ্চ ধান উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে স্থান করেছে বাংলা। সৌজন্যে বাংলার কৃষকরা। 
ভারতের সবথেকে বেশি আলু উৎপাদিত হয় কোন রাজ্যে? উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলা। বাংলা কখনও প্রথম স্থানে, কখনও দ্বিতীয় স্থনে চলে আসে। বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, মাত্র তিনটি জেলা বাংলাকে বছরের পর বছর ধরে এই মুকুট পরিয়ে দিচ্ছে। শেষ বছরে বাংলা ১ কোটি ২৬ লক্ষ টন আলু উৎপাদন করেছে। দেশে দ্বিতীয়। তার আগেই ছিল প্রথম স্থানে। 
বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের মধ্যে আর কী নিয়ে সর্বদাই চলে প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান অধিকার করার ক্ষেত্রে? যা ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড়সড় একটি ভূমিকা গ্রহণ করে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এমএসএমই। কখনও উত্তরপ্রদেশ বেশি টার্নওভার দেয় ভারতকে এই সেক্টরে, আবার পরের বছরেই বাংলা বেশি অর্থ দেয়। একেবারে ছোট ছোট ইউনিটে কয়েকজন কাজ করছে সকলের আড়ালে, এরকমই ক্ষুদ্রশিল্পগুলি রপ্তানিতে ভারতকে সাহায্য করছে বছরের পর বছর। কারা তারা? জরি শিল্প, গয়না শিল্প, হস্তশিল্প, টেক্সটাইল ইত্যাদি। 
ভারতের সবথেকে বেশি সব্জি উৎপাদন করে কারা? বাংলার কৃষকরা। কখনও প্রথম স্থান ভারতের মধ্যে। কখনও দ্বিতীয় স্থান। এবার দ্বিতীয় হয়েছে। ভারতের মোট সব্জি উৎপাদনের ১৫ শতাংশ দেয় বাংলার কৃষকরা। বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ভেন্ডি। এই চারটি সব্জি সবথেকে বেশি প্রদান করে ভারতকে এই বাংলাই। 
ভারতের বস্ত্রশিল্পে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের সর্বোচ্চ মানের বস্ত্র উৎপাদনে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কে স্থান করে নিয়েছে? বাংলা। তসর সিল্ক, মুর্শিদাবাদ সিল্ক, বালুচরী এবং তাঁত। এই চারটি হল বাংলার চারটি ব্রহ্মাস্ত্র, ভারতের বাকি রাজ্যকে পরাস্ত করার জন্য। বছরের পর বছর ধরে।
দেশের ২০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে সর্বোৎকৃষ্ট একটি করে প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখায়। কলকাতা সেই তালিকায় অন্যতম। কেন? গহনা শিল্পের জন্য। উজ্জ্বল, আলোকপ্রাপ্ত, শিক্ষিত, সচেতন, শহুরে কলকাতার অলিগলির আড়ালে প্রায়ান্ধকার ঘরে কারা এইসব গয়না নির্মাণ করে ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা করে চলেছেন? ওই গরিব নিম্নবিত্ত ঘরের শ্রেণি। 
ভারতের পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসেবে কৃষিকাজ, ক্ষুদ্র শিল্প, মাছ ধরা এবং একক পরিশ্রমে নারীদের আয় করার যে আনুপাতিক হার, সেখানে বাংলার গ্রাম শহরের নিম্নবিত্ত নারীদের স্থান প্রথম সারিতে। অর্থাৎ অসংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা যুক্ত হয়ে প্রবল পরিশ্রমে সংসারে সামান্য সুরাহা করছেন। 
এই যে ভারতের মানচিত্রে বাংলাকে প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে তুলে নিয়ে আসছে গ্রামীণ অথবা অনগ্রসর বাংলা, তার ঠিক বিপরীত বঙ্গীয় শিক্ষিত বাবু সমাজ। বাংলার সাফল্যে তাদের অবদান কী? ঠিক কোন সেক্টরে তাদের অবদানে বাংলা বছরের পর বছর ধরে প্রথম সারিতে থাকতে সক্ষম হচ্ছে? উল্লেখযোগ্য নয়।  
দিল্লির মুখার্জিনগর, রাজিন্দর প্লেস, করোলবাগ ইত্যাদি এলাকার রাস্তায় হাঁটা সম্ভব নয়। কারণ, সর্বত্র ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের ভিড়। বইখাতা টেস্টপেপার ফোটোকপির দোকানে ঘিঞ্জি। এবং অসংখ্য টিউটোরিয়াল। ভারতের প্রতিটি প্রান্ত থেকে আইপিএস, আইএএস, আইএফএস হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরা আসছে। প্রবল কষ্টে একটি ঘরে ঠাসাঠাসি করে, জল বিদ্যুতের সমস্যার মোকাবিলা করেও তারা দাঁতে দাঁত চেপে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসছে। আইএএস হওয়ার এই মরণপণ পরীক্ষায় বাঙালি শিক্ষিত তরুণ শেষ কবে টপার হয়েছে? প্রথম ১০ জন টপারের মধ্যে বাঙালির স্থান কোথায়? ২০২৩ সালের রেজাল্টও যদি দেখা যায়, নেই। বাংলায় জেলায় জেলায় পুলিস সুপার, জেলাশাসকদের মধ্যে এত কম কেন বাঙালি? কারণ, আইপিএস, আইএএস হওয়ার সংখ্যাই কমে যাচ্ছে। বঙ্গীয় বাবু চাইছেন না কেন যে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বাঙালি ছেলেমেয়েরা আরও বেশি করে আসুক। আইএএস হলেই একমাত্র সরাসরি ভারত সরকারের নানাবিধ সরকারি প্রকল্পে প্রত্যক্ষ প্রস্তাব, মতামত, পরামর্শ দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার অধিকার অর্জিত হয়। বাঙালি আইএএসের সংখ্যা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রকগুলিতে এখন হাতে গোনা। 
রেলভবনে ভারতীয় রেলবোর্ডের সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিকদের মধ্যে বাঙালি অফিসার কতজন? ভারতের বিদেশসচিব শেষ কবে বাঙালি হয়েছেন? স্বরাষ্ট্রসচিব? দেশের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি? বঙ্গীয় বাবু সমাজের কতজন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির পরীক্ষায় বসার জন্য ছেলেমেয়েদের উদ্বুদ্ধ করেন? আর্মি, এয়ারফোর্স, নেভির সর্বোচ্চ স্তরের অফিসার হওয়ার তালিকায় বাঙালির সংখ্যা কম কেন? একজন চিফ অফ এয়ার স্টাফ অরূপ রাহা কিংবা জেনারেল শংকর রায়চৌধুরী থাকা সত্ত্বেও শিক্ষিত বাঙালি উদ্বুদ্ধ হল না কেন ঘরের ছেলেময়েদের এই স্তরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে? 
এক সময় কিছু ডাক্তারের সম্পর্কে মিথ চালু হয়েছিল। সেই প্রবণতা ও প্রথা বহুকাল ধরে বজায় থাকত। অর্থাৎ ওই চিকিৎসক ধন্বন্তরী। তিনি দূর থেকে দেখেই বলে দেবেন কী রোগ হয়েছে। সেই মিথ সত্য হোক অথবা অতিরঞ্জিত হোক, তাঁরা কিন্তু ওই আস্থা অর্জন করেছিলেন। আজ মিথে পরিণত হয়েছেন এরকম পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসক কোথায়? নেই কেন? কেন নেই গোটা ভারতের শিক্ষামহলের কাছে শ্রদ্ধেয় কোনও অধ্যাপক কিংবা শিক্ষক? মিডিওক্রিটি অথবা অ্যাভারেজ স্তরকে ছাপিয়ে শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষেবায় শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় নিজেদের আর বসাতে পারছে না কেন বাবু সমাজ? গ্রাম তো পারছে! কৃষিতে পারছে। ক্ষুদ্র শিল্পে  পারছে। তাদেরও তো ভারতের অন্য রাজ্যের সঙ্গে লড়াই করেই এই তকমা ছিনিয়ে আনতে হচ্ছে? তারা পারছে, অথচ বঙ্গীয় শহুরে শিক্ষিত শ্রেণি ভারতজয়ী হতে পারছে না কেন? 
লিয়েন্ডার পেজ ১৯৯৬ সালে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। বাঙালি নন। কিন্তু কলকাতার। অতএব আমাদেরই লোক। দীপা কর্মকার ০.১৫ পয়েন্টের জন্য রিও ওলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেলেন না। তারপর থেকে বাঙালি কোথায় ওলিম্পিক্সের পদকতালিকার কাছে যাওয়ার? দাবা ওলিম্পিয়াডে আমাদের ছেলেমেয়ে যাবে একদিন, এই শপথ বঙ্গীয় বাবু সমাজের কতজন নিচ্ছেন?  
ভারতের গ্রামীণ সমাজ বাংলার উৎকর্ষ কিংবা শ্রেষ্ঠত্ব অথবা সফলতাকে এনে দিচ্ছে সরাসরি কঠোর পরিশ্রম করে পারফরম্যান্স দেখিয়ে। চাষ করে, কাজ করে, ঘাম ঝরিয়ে, হস্তশিল্পে নৈপুণ্য দেখিয়ে। ধানে ফার্স্ট। আলুতে ফার্স্ট। সব্জিতে ফার্স্ট। ক্ষুদ্রশিল্পে ফার্স্ট। এটা নিছক কোনও তৃণমূল কিংবা রাজ্য সরকারের কৃতিত্ব নয়। গ্রামবাংলার কৃতিত্ব! পক্ষান্তরে, এলিট সমাজ ডাক্তার হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে, সফটঅয়্যারে যাচ্ছে, অধ্যাপক হচ্ছে, সরকারি চাকরি করছে, কিন্তু তাদের নিজস্ব সেক্টরে বাংলাকে জাতিগতভাবে ভারতের মানচিত্রে শ্রেষ্ঠ তালিকায় নিয়ে যেতে পারছে না। কেন? অন্যতম কারণ হল, এই বাবু সমাজ ক্রমেই অন্যকে দোষারোপ দেওয়ার একটি অন্ধসুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে। মিডিয়া খারাপ। সরকার খারাপ। রাজনীতি খারাপ। প্রতিপক্ষ দল খারাপ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খারাপ। কন্যাশ্রী খারাপ। সবাই খারাপ। সবাই ভুল। একমাত্র বাবু সমাজ ঠিক! তারাই ভালো! 
তাদের এটা ভাবার সময় এসেছে যে, আমরা নিজেরা এককভাবে কেমন? কী অবদান রয়েছে আমাদের রাষ্ট্রনির্মাণে? আমরা ঠিক কী কী করেছি জনমনে চিরকাল স্মরণযোগ্য হয়ে থেকে যাওয়ার জন্য? সমাজের ঠিক কোন কাজটি করেছি যা দীর্ঘমেয়াদে বাঙালিকে গর্বিত কিংবা উপকৃত করবে? এমনকী রাজনীতিতেও তারা সফলতম নেতানেত্রী হতে পারছে না। সর্বভারতীয় কোনও দলে নতুন প্রজন্মের জাতীয় স্তরের বাঙালি নেতানেত্রী  নেই আর। রাজ্যেও লক্ষ লক্ষ মানুষকে একা জড়ো করতে পারবেন এক ডাকে, এরকম নতুন যুগের নেতানেত্রী বাবু সমাজ তৈরি করতে পারছে না। কেন? 
কৃষিতে, ক্ষুদ্রশিল্পে, হস্তশিল্পে, মাইক্রো ইকনমিতে গ্রামীণ এবং নিম্নবর্গের গরিব শ্রেণি বাংলার জন্য কিছু অন্তত করছে প্রতি বছর ভারতের মধ্যে সেরার তালিকা ছিনিয়ে এনে। যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়, বাবুদের আন্দোলনে চিকিৎসা না পেয়ে ঘুরে বেড়ায় শহরের হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে, যাদের পুজোর মুখে বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যায়, বাঁধের উপর অথবা স্কুলবিল্ডিংএ উঠে আসে তারা ক্যাম্পে। আবার ঘুরে দাঁড়ায় তারাই। আবার ঘর তৈরি করে। আবার কলেজ স্কোয়ারে চন্দননগরের আলোর খেলা আর থিমের পুজোগুলি দেখতে আসে ইছামতী প্যাসেঞ্জার অথবা লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে চেপে। দড়ি দিয়ে তাদের ভিড় আটকে রাখে বাবুদের পুজোকমিটি। গোরুছাগলের মতো। তারা হাসি মুখে মেনে নেয়। তারপর শেষরাতে কাইজার স্ট্রিটের মুখের স্টল থেকে পাউরুটি আলুর দম খেয়ে ভোরের স্পেশাল ট্রেন ধরে ঘুমন্ত ছেলেকে কোলে নিয়ে ফেরে ঘরে। নিমের দাঁতন নিয়ে ঠান্ডা বাতাস মেখে দাঁড়ায় অষ্টমীর সকালে ফসলের খেতের সামনে। রবিচাষের চিন্তা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে ফসফেট সারের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে। তারপর আসে সন্ধিপুজো, তীব্র জীবনীশক্তির লড়াইয়ে আবার গ্রামবাংলাকে জিতিয়ে দেওয়ার বরাভয় নিয়ে! 
04th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
একনজরে
আরও বিপাকে পড়লেন রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। আর জি কর কাণ্ডে তাঁর করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কোনও সাড়া দেয়নি সিঙ্গল বেঞ্চ। তাই শুক্রবার তিনি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। এদিন দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চও ...

দিল্লি পুরনিগমের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি আসনে নির্বাচন নিয়ে সাক্সেনা ...

দু’টি পৃথক রুটের অটো ইউনিয়নের গণ্ডগোলে বন্ধ অটো ও বাস চলাচল। যার জেরে বিপাকে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বন্ধ থাকে বনগাঁ-দত্তফুলিয়া ও বনগাঁ-বয়রা রুটের বাস পরিষেবা। বন্ধ থাকে বনগাঁ-হেলেঞ্চা অটো পরিষেবা। ...

কোচ বদলের পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় দল। ভারতীয় ফুটবলে এমন উদাহরণ প্রচুর। বিনো জর্জের হাত ধরে ইস্পাতনগরীতেও কী একই দৃশ্য দেখা যাবে? আশায় বুক বাঁধছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিক্ষক দিবস
১৭৮৯ - ফরাসি বিপ্লবের সূচনা
১৮৬৪ - ঘূণিঝড়ে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ১৭ হাজার লোকের মৃত্যু
১৮৯৫ - অনুশীলন সমিতির সদস্য ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমন্তকুমার বসুর জন্ম
১৯৪৭ - কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি স্থাপিত
১৯৮৯ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফতিমা বিবি ভারত সুপিমকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি মনোনীত হন
১৮০৫ -  ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিসের মৃত্যু
২০১১ - অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের মৃত্যু
২০২০- সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা শক্তি ঠাকুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র ৪০/৩ রাত্রি ৯/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৩৩/১, সূর্যাস্ত ৫/১৭/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। 
১৮ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫৪। স্বাতী নক্ষত্র ৮/১৬। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। 
১ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট দুর্নীতি মামলা: পাটনা আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই

10:31:00 PM

মহিলা টি-২০  বিশ্বকাপ: বাংলাদেশকে ২১ রানে হারাল ইংল্যান্ড

10:30:00 PM

ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

09:48:00 PM

জম্মুর ঘোরটায় বিস্ফোরক উদ্ধার, তদন্তে পুলিস

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:29:00 PM

মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু রানাঘাটের ৮৪ বছরের বৃদ্ধের

09:19:00 PM