মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
লালবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পুজোর ৫৬তম বর্ষে বাজেট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সম্পাদক সন্দীপ কুণ্ডু বলেন, মণ্ডপের ভিতরের অংশ কাচ দিয়ে হচ্ছে। বাইরের দিকে প্লাস্টিক, জাল, সুতো, মশারির কারুকার্য থাকবে। মণ্ডপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি প্রতিমা আসছে কাঁথি থেকে। পুজোয় চন্দননগরের আলোকসজ্জা থাকবে।
পাঠকপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবার ১২৭তম বর্ষে পড়ল। চতুর্থীর দিন শহরের ওই প্রাচীন পুজোর উদ্বোধন হবে। পুজো কমিটির সহ সভাপতি অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পুজোর প্রতিমা একচালার সাবেকি। পুজো উপলক্ষ্যে পাঁচদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা এবারের পুজোর বাজেট।
বঙ্গ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত বাঁকুড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এবারের থিম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। মণ্ডপে একটি বড় লক্ষ্মীর ভাঁড় থাকবে। ওই পুজোর এবার ৯৬ বছর। পুজোর বাজেট সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। কার্যকরী সভাপতি তথা বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ফলে সর্বজনীন পুজোর জৌলুস বেড়েছে। আমরা সরকারের জনপ্রিয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পকে তুলে ধরছি।
কাটজুড়িডাঙা কেন্দুয়াডিহি ইলেক্ট্রিক সাব স্টেশন মোড় সর্বজনীনের পুজোর এবার রজতজয়ন্তী বর্ষ। ওই পুজোর থিমের নাম ‘চাই না উমা হতে’। বিয়ের নামে গরিব পরিবারের মেয়েদের পাচারের সমস্যা ফুটে উঠবে থিমে। গ্রাম বাংলার ঠাকুরদালান ও আটচালার আদলে তৈরি মণ্ডপের মাটির বেদির উপর একচালার প্রতিমা পূজিত হবেন। অন্যতম উদ্যোক্তা মধুসূদন রায় বলেন, পুজোর বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা।
সর্বানন্দপল্লি ইউনাইটেড মিলেনিয়াম ক্লাবের পুজোর ২৬তম বর্ষে বাজেট ১৪ লক্ষ টাকা। পুজোর থিম ‘মহামিলনের মহোৎসব’। একটি বড় নৌকোর আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। তার উপর বাঁশ, বাটাম, কাপড় দিয়ে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বোয়ারা প্রভৃতি তৈরি করা হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের একজন বাপী চক্রবর্তী বলেন, মাটির একচালার সাবেকি প্রতিমা পূজিত হবেন। ভেদাভেদ ভুলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে থাকার বার্তা দিতে আমরা ওই থিম বেছে নিয়েছি।
৯২তম বছরে মধ্য কেন্দুয়াডিহি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের থিমের নাম ‘ধামসা মাদলের দেশে, মা আসছেন আপন বেশে’। পুজোর বাজেট ২৩ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সভাপতি অচিন্ত্য কুণ্ডু বলেন, পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। আদিবাসী সংস্কৃতিকে আমরা তুলে ধরতে চাইছি। প্রতিমায় এবার মাটির সাজ থাকবে।
৩২তম বর্ষে পুয়াবাগান সর্বজনীনের থিম ‘সেলুলার জেল’। আন্দামানের ওই জেলের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। পুজো কমিটির সম্পাদক বিদেশ পাত্র বলেন, আমাদের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ ‘লাইট শো’। সেলুলার জেলে বিপ্লবীদের কীভাবে সাজা দেওয়া হতো তা ওই শোয়ের মাধ্যমে দেখানো হবে। বাজেট প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা।