আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মূলত ভাণ্ডানি পুজো রাজবংশী সম্প্রদায়ের পুজো হলেও বর্তমানে এই পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। কথিত আছে, দশমীতে বিসর্জনের পর বাপের বাড়ি থেকে উমা উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে গ্রাম্যবধূ বেশে কৈলাসে ফিরছিলেন। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে অরণ্যের ভিতর দিয়ে যেতে গিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েন। পথভ্রষ্ট গ্রাম্যবধূর কান্নার শব্দ শুনে ছুটে আসেন রাজবংশী সমাজের কিছু লোক। তাঁরা তাঁকে নিয়ে যান নিজেদের গ্রামে। দেবী সেই রাত ওই গ্রামে কাটিয়ে একাদশীর দিন ফিরে যান কৈলাসে। গ্রামবাসীদের আতিথ্যে তুষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে দেবী নিজের প্রকৃত পরিচয় দেন এবং গ্রাম-বাংলার মানুষের শস্যের ভাণ্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকার বর দিয়ে যান।
সেই থেকেই ভাণ্ডানি পুজোর সূচনা হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন রাজবংশী লোকসাংস্কৃতিক গবেষক রতনচন্দ্র রায়। তবে এখানে উমা দশভূজা হন না। এখানে উমা চতুর্ভুজা। তাঁর সঙ্গে থাকেন সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশ।
ভাণ্ডানি পুজোর জন্য ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি এলাকায় একটি জনপদের নাম হয়েছে বড় ভাণ্ডানি। পুজো উপলক্ষ্যে এখানে তিনদিন ব্যাপী মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় পুজো হয়, মেলা বসে। এমনই একটি ভাণ্ডানি পুজোর আয়োজক ধর্মনারায়ণ রায় বলেন, দুর্গাপুজোর মতোই আমাদের গ্রামে ভাণ্ডানি পুজো হয়ে থাকে। পুজো উপলক্ষ্যে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। মেলাও বসে। তারই প্রস্তুতি চলছে।