আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১০ বছরেই অভিনব থিমের জন্য পরিচিতি অর্জন করেছে প্রান্ত পল্লি। ফেলে আসা দিনের স্মৃতি বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের থিম শহর ঘেঁষা গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য বিশ্বজিৎ দত্ত, জয়দেব ওরাও বলেন, আমাদের থিম ভাবনায় নতুনত্ব থাকে, যা দেখার জন্য দর্শনার্থীরা মুখিয়ে থাকেন। এবার জলাশয়ের উপর তৈরি মণ্ডপ, প্রতিমা এবং লাইট অ্যান্ড সাউন্ড দর্শকদের মনে ধরবে বলে আশা করছি।
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, জলের উপর প্রায় ৫০ ফুট দীর্ঘ ও ১৫ ফুট চওড়া পাটাতন থাকবে। তারউপর দিয়ে হেঁটে মূল মণ্ডপে পৌঁছতে হবে। মণ্ডপের আগে পাটাতনের দু’পাশে থাকছে রঙিন জলের ফোয়ারা। সঙ্গে থাকছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম। পুজো কমিটির সম্পাদক সুমিত দত্ত বলেন, বরাবর আমাদের প্রতিমায় বিশেষ আকর্ষণ থাকে। এবারও থাকছে। লাল পাড় সাদা গরদের শাড়িতে সাবেকি প্রতিমা হবে। মায়ের সাজ হবে গোল্ডেন। পুজো কমিটির দাবি, প্রান্ত পল্লির পুজোয় মহিলাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। মহিলারাই পুজোর সিংহভাগ কাজ করেন। চাঁদা সংগ্রহও প্রমীলা বাহিনী করে। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ ঝুমা দাস বলেন, সরকারি অনুদান আমাদের থিমের পুজোয় উৎসাহিত করেছে। এছাড়াও এলাকার ৬০-৭০টি পরিবার স্বেচ্ছায় আর্থিক সাহায্য করে। তন্দ্রা ঘোষ বলেন, বহরমপুর শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা থিমের পুজো করে আসছি। কয়েক বছর ধরে হরিদাসমাটি, কৃষ্ণমাটি এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। দর্শনার্থীদের সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এবার চতুর্থীর দিন থেকেই মণ্ডপের গেট দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।