আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জঙ্গলমহল তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওই পাহাড়ের নীচে ছোট্ট গ্রাম শুশুনিয়া। পাহাড়ের নামেই গ্রামের নাম। আর ওই গ্রামেই গত ১৫ বছর ধরে শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির সদস্যরা দেবী দশভুজার আরাধনা করে আসছেন। এবার তাঁদের পুজো ষোড়শতম বর্ষে পদার্পণ করলেও জৌলুস ও আয়োজকদের উদ্যম প্রথম বছরের মতোই রয়েছে। বিগত বছরগুলির মতো এবারেও আলোকসজ্জা থেকে মণ্ডপসজ্জা, সব কিছুতেই চমক থাকবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। এবার এই পুজোর থিম ‘পার্বণপ্রিয় বাঙালি’। পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।
এই কমিটির পুজোয় ফুটে উঠবে গ্রাম বাংলার পরিবেশ ও বাঙালির ১২ মাসের বিভিন্ন পুজো পার্বণ ও লোকাচারের ছবি। এবারের পুজোর বাজেট ১০ লক্ষ টাকা। বেশ কয়েক বছর ধরেই জেলার সেরা পুজোর তকমা পেয়ে আসছে ওই পুজো কমিটি। পঞ্চমী থেকে একাদশী পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে এই পুজো মণ্ডপে। প্রতিবছর থিমে নতুনত্ব আনার জন্য উদ্যোক্তারা পুজোর আগের কয়েকটা মাস নিরলস পরিশ্রম করেন।
পুজো কমিটির সভাপতি মিলন চৌধুরী, সম্পাদক ভগবান কর্মকার বলেন, চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিসের কর্তাদের পুজো উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যুগ্ম সভাপতি দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুগ্ম সম্পাদক দেবব্রত কর্মকার বলেন, পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য হেল্পলাইন নম্বর ও বয়স্কদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। মণ্ডপে প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের থিম দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।