ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কথিত রয়েছে, যাদব কুলপতি শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম অর্জুনকে একবার বলেছিলেন যে কোনও এক সময় এখানে ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর তাঁর রাজধানী নির্মাণ করবেন।
১১৯৬ সালে যাদবরাজা রাওয়াল জয়সোয়াল এখানে ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর দুর্গ গড়ে (যা আগে জয়সলমির দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল। তবে, সত্যজিৎ রায়ের ছবির দৌলতে বর্তমানে সোনার কেল্লা নামেই বেশি বিখ্যাত) এই অঞ্চলে তাঁর রাজধানী গড়ে তোলেন। শ্রীকৃষ্ণর ভবিষ্যৎ বাণী মিলে যাওয়ার আনন্দে জনগণের মধ্যে সারা পড়ে যায়। শুরু হয় উৎসব। বছরভর লেগে থাকা উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম এই মরু উৎসব বা ডেজার্ট ফেস্টিভ্যাল।
রাজস্থান পর্যটন দপ্তরের উৎসাহ ও উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর ধরে এই উৎসব গোটা দেশের কাছে এক জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
প্রত্যেক বছর বাংলা মাঘ মাসের পূর্ণিমার ৩ দিন আগে এই উৎসবটি শুরু হয়। উৎসবের প্রথম দিন জয়সলমির কেল্লা থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিভিন্ন রাজস্থানি লোকশিল্প পরিবেশন করতে করতে এগিয়ে চলে শহিদ পুনম সিং স্টেডিয়ামের দিকে। মূল অনুষ্ঠানটি হয় থর মরুভূমির বুকে বা স্যামে। একদিকে উটের সারি, সুসজ্জিত যান, তার সঙ্গে জমকালো পোশাক, পাগড়ি, লেহঙ্গাতে সুসজ্জিত মানুষের ঢল। এমনিতে রাজপুতরা পোশাক এবং মনের দিক থেকে খুবই রঙিন। তাঁরা রঙিন পোশাক পরতে খুবই ভালোবাসেন। রাজপুত পুরুষেরা রঙিন ধুতি, দণ্ডিয়া, আংরাখা, চুড়িদার পায়জামা, কুর্তা, লম্বা আচকানের সঙ্গে যে পাগড়িটি মাথায় পরেন, শোনা যায় তাঁর কাপড়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিটার। আর মহিলারা অসংখ্য কুঁচি দেওয়া যে ঘাগরা বা লেহঙ্গা পরেন তার কাপড়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ থেকে ৪০ মিটার। তাদের অলঙ্কার ও প্রসাধনও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই উৎসবে চলে রাজস্থানি লোকগান, লোকনৃত্য, আগুন নিয়ে নৃত্য প্রভৃতি। প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ জয়সলমিরে পাড়ি জমান শুধু এই উৎসব দেখতে। অতএব, যাঁরা রাজস্থান বা জয়সলমির বেড়াতে যাবেন এ বছরের শীতে, তাঁদের কাছে উপরি পাওনা হতে পারে এই মরু উৎসব।
প্রসঙ্গত, জানিয়ে রাখি ২০২০ সালের এই মরু উৎসব হবে ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ থেকে ৯ তারিখ।