প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জিন থেকে জেনেটিক্স কথাটি এসেছে। জিনের কাজই হল গত প্রজন্মের গুণাগুণ বর্তমন প্রজন্মকে দান করা। এই জিন লুকিয়ে থাকে ডিএনএ-র মধ্যে। আমাদের প্রয়োজনে এই ডিএনএ-র গঠনে পরিবর্তন এনে উন্নত গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী তৈরি করা হচ্ছে। এর থেকে পাওয়া যাচ্ছে সুষম গুণসম্পন্ন খাদ্য, উন্নত ফাইবার, তার থেকে উন্নত কাপড়। এভাবে রোগের জীবাণুর উপর গবেষণা করা হচ্ছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বর্তমান সমাজে জেনেটিক্সের প্রভাব অনেকটাই রয়েছে। একারণে কাজের জগতেও জেনেটিক্স –এর বিশেষ জায়গা তৈরি হয়েছে।
জেনেটিক্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য রয়েছে দু’ধরনের কোর্স। বিএসসি ইন জেনেটিক্স এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং— বিটেক ইন জেনেটিক্স। বিএসসি ইন জেনেটিক্স কোর্সটির বেশিটাই থিওরিটিক্যাল। আবার বিটেক ইন জেনেটিক্সে থিওরি এবং প্র্যাক্টিক্যাল দু’দিকেই সমান প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্বীকৃত এই দু’টি কোর্স । ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি এআইসিটিই অনুমোদিত।
তিন বছরের বিএসসি করার জন্য যে কোনও অনুমোদিত বোর্ড থেকে সায়েন্স নিয়ে ১০+২ পাশ করতে হবে। বিটেক করার জন্য জেইই মেন, জেইই অ্যাডভান্সড এবং গেট (GATE) দিতে হয়। জেনেটিক্স নিয়ে এমএসসি করা যায়। সেক্ষেত্রে বটানি,
জেনেটিক্স, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের মতো বিষয় নিয়ে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর সহ স্নাতক হতে হবে। জেনেটিক্স নিয়ে গড়ে ওঠা পেশাগুলির বেশিরভাগই সরকারি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, হেলথ কেয়ার অর্গানাইজেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ভিত্তিক। হওয়া যায় জেনেটিক্স সায়েন্টিস্ট, স্টেম সেল এক্সপার্ট, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার, ফরেন্সিক এক্সপার্ট, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ার।