কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সমিত রায় : ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় গণিত সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় একশোই গণিত। আর এটা তো সকলেরই জানা, মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক বা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের সিলেবাস অনেক ব্যাপ্ত, অনেক কঠিন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে তাই একাদশ শ্রেণি থেকেই গণিতে জোর দিতে হবে। তবে পড়ো অঙ্ককে ভালবেসে, ভয় পেয়ে নয়।
একাদশ শ্রেণির প্রথম এক মাস differential এবং integral calculus-এর প্রাথমিকটুকু শিখে নাও। এতে ভৌতবিজ্ঞান ও রসায়ন পড়তে সুবিধা হবে। পরে calculus সময় নিয়ে শিখতে হবে।
যাই পড়ো না কেন, তার একটা ধরন আছে। কোনও বিষয়ের শুরুতে যে বোর্ডে পড়ো, তার পাঠ্যবইটা আয়ত্ত করতে হবে। তারপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বইয়ে বিষয়গত এবং MCQ-র বইয়ে ওই বিষয়ের উপর যে অঙ্কগুলো আছে তা সমাধান করার চেষ্টা করবে। যেহেতু আইআইটি এবং আমাদের রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর সিলেবাস মোটামুটি এক, সেহেতু কোনও আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কোচিং ইনস্টিটিউটের স্টাডি মেটেরিয়াল হাতে রাখা ভালো।
Co-ordinate Geometry ভালোভাবে অভ্যাস করবে। কারণ এখান থেকে নম্বর তোলা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে।
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় পাবে না। তাই এই সময় প্রতিদিন কম করে দুই থেকে তিন ঘণ্টা MCQ অভ্যাস কর। এতে problem selection ও perfection-এর উপর জোর দাও। মূল পরীক্ষা দেওয়ার সময় তো বটেই, অভ্যাস করার সময়েও তাড়াহুড়ো করবে না। একবার না পারলে বারবার চেষ্টা কর। কোনওভাবেই না হলে সমাধান জেনে সেটা নিজে অভ্যাস কর ফের। ‘মক টেস্ট’ দিয়ে যাও একের পর এক।
পরীক্ষার দিন মাথা ঠান্ডা রেখে খুব ধীরে ধীরে শুরু কর। তাড়াহুড়ো নয়, ঠিক করতে পারাটাই তোমার লক্ষ্য। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবে না। মনে রেখো, জয়েন্ট পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং একটা বিশাল ভূমিকা পালন করে।
কোনও অঙ্ক কষার সময় খুব বড় কোনও সমাধান পদ্ধতি মাথায় এলে, সেই প্রশ্নটা এড়িয়ে যাও। কারণ জয়েন্ট এন্ট্রান্সে খুব বড় পদ্ধতির অঙ্ক দেয় না সাধারণত। নিশ্চয়ই ওটার কোনও ছোট পদ্ধতি আছে, যেটা তোমার মাথায় আসছে না। তাছাড়া সমাধানের পদ্ধতি বড় হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। অনেকটা সময় নষ্ট হয়। সময় বাঁচিয়ে যতটা সম্ভব ঠিক উত্তর করাই কাম্য।
কয়েকটা দিক খেয়াল রাখা দরকার:
এখন আর নতুন করে কোনও বই বা টপিক শুরু না করাই ভাল, এতে সমস্ত প্রস্তুতি ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি। যা পড়েছ সবটা একবার দেখে নাও শুধু।
বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলোয় একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই হবে। এতে কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে সেই বিষয় একটা পরিষ্কার ধারণা হবে এবং বিষয়টা অনেক সহজ হবে।