প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আত্মবিশ্বাসী
কয়েক মাস আগে ‘স্ত্রী ২’ ছবির সাফল্য এসেছে খানিক অপ্রত্যাশিত ভাবে। এখনও তা উপভোগ করছেন অভিনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইতে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। কেরিয়ারের বেশ কিছু বছর পেরিয়ে এসে সাফল্যের সংজ্ঞা কি বদলে গেল? হেসে অভিষেক বলেন, ‘না। ওটা প্রথমদিনের মতোই থাকবে আজীবন। সাফল্য মানে দর্শকের ভালোবাসা। কারণ আমি তাঁদের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করি। সাফল্য মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ‘স্ত্রী ২’-এর পর সেটা আরও বেশি বুঝতে পারছি।’
অনিশ্চয়তা
বলিউডে আজ কাজ আছে, কাল কাজ নাও থাকতে পারে। অনিশ্চয়তার দুনিয়ায় স্বেচ্ছায় প্রবেশ করেছিলেন অভিষেক। অকপটে বলেন, ‘এটা আমাদের কাজের অঙ্গ। সকলকে ভালো কাজ পেতে অপেক্ষা করতে হয়। এসব কখনও নেতিবাচক হিসেবে দেখি না। কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে কেরিয়ার শুরু করার সময়ই আমি আশাবাদী ছিলাম যে, একদিন অভিনয় করার সুযোগ পাবই।’
বহুরূপী
আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিত বৃত্তে অনেকেই নাকি অভিষেককে ‘বহুরূপী’ বলে ডাকতেন। মজার ঘটনা শেয়ার করে বললেন, ‘ছোটবেলায় আমাকে অনেকে বহুরূপী বলে ডাকতেন। অভিনেতা হিসেবে এই শব্দটা আমি পছন্দ করি। কারণ বাবা, মা, বন্ধু, শিক্ষক সকলে ভিন্ন ব্যক্তিত্ব। সকলকেই নকল করতাম। আজও অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতিটা চরিত্র উপভোগ করতে চাই। নিজেকে কখনও কোনও ইমেজে বেঁধে রাখায় বিশ্বাসী নই।’
ভালো গল্পের সন্ধানে
মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছেন অভিষেক। স্ট্রাগল তাঁকে আজও করতে হয়। তবে নিজের মধ্যে বাঁচিয়ে রেখেছেন আজন্মের শিক্ষা, মূল্যবোধ। তাঁর কথায়, ‘কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমাকে ভাবতে হতো বাড়ি ভাড়া কী করে দেব, কী খাব। এখন আমার স্ট্রাগল, ভালো গল্প কোথা থেকে পাব। ভালো পরিচালকদের সঙ্গে এখন আমি কাজ করতে চাই।’
পরিচালনার ইচ্ছে
কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন অভিষেক। অভিনেতা হিসেবেও অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ হচ্ছে প্রতিদিন। এসব নিয়েই পরিচালনা করতে চান? অভিনেতার জবাব, ‘পরিচালনা করব। তবে এখনই নয়। আসলে পরিচালনার ক্ষেত্রে দু-তিন বছর সময় দিতে হয়। সেটা আমার পক্ষে এখন সম্ভব নয়। পরিচালক হওয়ার আগে আর্থিক ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত করতে হবে। বুড়ো বয়সে হয়তো পরিচালনা শুরু করব (সশব্দে হেসে)।’