বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ছবির এমন নাম কেন? হেসে সুদীপ্তা বললেন, ‘স্বর্ণ শিখর জোয়ারদারের পরিচালনায় আমাদের ছবির মুখ্য চরিত্র জ্যোতির্ময়ের জীবনের কিছু তেতো ঘটনাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি হয়েছে। অনেক মানুষ থাকে সব সময় সকলের সামনে সব কথা বলতে পারে না। অনেক কিছু লুকিয়ে রাখতে হয়। কেউ বা ছোট থেকে বন্ধুদের র্যাগিংয়ের শিকার। পরিবারের সমর্থন পায়নি। এসব কারণে একটা মানুষের জীবনের প্রতি কতটা তিক্ততা তৈরি হয়, সে নিয়েই এই ছবি।’
ব্যক্তি সম্পর্কে স্বর্ণ এবং সুদীপ্তা দম্পতি। স্বামীর পরিচালনায় প্রথমবার কাজ করলেন অভিনেত্রী। শ্যুটিংয়ে পরিচালকের বকুনি শুনতে হয়েছে? সুদীপ্তার উত্তর, ‘পরিচালক হিসেবে স্বর্ণ সকলের সঙ্গেই বন্ধুর মতো ব্যবহার করে। রাজেশ শর্মা, দেবেশ রায়চৌধুরীর মতো সিনিয়র অভিনেতারাও রয়েছেন এই ছবিতে। তবে অনেক নতুন শিল্পীও রয়েছেন। তাঁদের আড্ডা, ইয়ার্কি, হইহই বেশি হলে পরিচালক বকতেন।’
এই ছবিতে সুদীপ্তার চরিত্রের নাম মিমি। চরিত্রের ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘চিত্রনাট্য অনুযায়ী জ্যোতির্ময় কলেজ জীবন থেকে মিমিকে ভালোবাসে। মিমির সঙ্গেও ওর একটা তেতো ঘটনা রয়েছে।’ উত্তরবঙ্গের রামপুরিয়া, মিরিখ, দার্জিলিঙের কিছু জায়গায় এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে। আপাতত সান বাংলায় ‘মঙ্গলময়ী মা শীতলা’ ধারাবাহিকে ‘মহামায়া’র চরিত্রে অভিনয় করছেন সুদীপ্তা। পাশাপাশি একটি ওয়েব সিরিজের কাজও চলছে।
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, বাংলা ছবির গড় ব্যবসা এখন ভালো নয়। সেই আবহে ‘তেঁতো’ নিয়ে কতটা আশাবাদী সুদীপ্তা? তাঁর জবাব, ‘প্রত্যেকের জীবনেই কিছু তেতো ঘটনা রয়েছে। যা হয়তো শেয়ার করা যায় না। আমরা কোথাও না কোথাও অপমানিত হয়েছি। তার জন্য ডিপ্রেশনও হয়েছে। এই সবই শুরু হয় ছোট থেকে। মা, বাবার সম্পর্ক শিশুর কাছে এজন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। মা, বাবার ভালোবাসা দেখেই সে বড় হয়। সেটা ছোট থেকে না দেখলে তার আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি হয়। এটা প্রতিটা মানুষের জীবনের গল্প। এই ছবি দেখে দর্শক নিজের জীবনের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন, এটুকু বলতে পারি।’